Home সাহিত্য ও বিনোদন চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

41

ডেস্ক রিপোর্ট: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ২০ আগস্ট বিকাল সাড়ে টায় ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ ভ্যানগার্ড মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। চারণের কেন্দ্রীয় সভাপতি নিখিল দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বাসদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ, চিকিৎসাবিজ্ঞানী ও শিক্ষাবিদ ডঃ লিয়াকত আলী, বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সাধারণ সম্পাদক অমিত রঞ্জন দে, চারণের সহ সভাপতি কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। সভা পরিচালনা করেন চারণের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন ।

কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যের দুটি মহীরুহ। কবিতা, গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ, নাটক, গান বিভিন্ন ক্ষেত্রে ছিল তাঁদের সৃষ্টির ভান্ডার। যা বাংলা ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে। ব্রিটিশ শাসিত পরাধীন ভারতে তাঁরা জন্মগ্রহণ করেন। সে সময় রাজনীতির ক্ষেত্রে মহাত্মা গান্ধীর নেতৃত্বে যেমন আপোষকামী ধারা ও নেতাজি সুভাষ বসুর নেতৃত্বে আপোষহীন বিপ্লবাত্মক ধারা ছিল। তেমনি সাংস্কৃতিক আন্দোলনের ক্ষেত্রেও বুর্জোয়া মানবতাবাদি ভাবাদর্শে জরাগ্রস্ত বৈশিষ্ট্য নিয়ে অপূর্ব শিল্প ক্ষমতাসমৃদ্ধ ব্যক্তিত্ব নিয়ে সর্বোচ্চ বিকাশ ঘটেছিল রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের মধ্য দিয়ে। আর যৌবনদীপ্ত সেক্যুলার মানবতাবাদী ধারার প্রকাশ ঘটেছিল কবি নজরুল ইসলাম এর মধ্য দিয়ে।কবিগুরুর ‘আমার সোনার বাংলা’ আজ আমাদের জাতীয় সংগীত। আর জাতীয় কবির ‘ চল চল চল–‘ আমাদের রণসংগীত। কবিগুরু বঙ্গভঙ্গের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। রাখিবন্ধনসহ বিভিন্ন সভা-সমাবেশে মিলিত হয়েছিলেন। শুধু তাই নয় জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে নাইটহুড উপাধি পরিত্যাগ করেন। কবি নজরুল পূর্ণ স্বাধীনতার দাবি নিয়ে ধুমকেতু বের করেন। ১৯২২ সালে তাঁর ‘ভাঙ্গার গান’ কাব্যগ্রন্থ ব্রিটিশ সরকার বাজেয়াপ্ত করেন। তিনি কারাবরণ করেন ও অনশন করেন।
আলোচনা সভা শেষে সংগীত ও আবৃত্তি পরিবেশন করেন চারণের শিল্পী বৃন্দ।