Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ

চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে বশেমুরবিপ্রবি উপাচার্যকে অবরুদ্ধ

24

বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি: গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী (মাস্টাররোল) কর্মচারীরা।

বুধবার (১৭ মে) বেলা ১২টায় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে উপাচার্যের দপ্তরে তালা লাগিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ট্রেজারারসহ প্রক্টর অবরুদ্ধ হয়ে পড়লে ঘটনা স্থলে সহকারী প্রক্টর সাদ্দাম হোসেন ও কয়েকজন শিক্ষক উপস্থিত হলেও অস্থায়ী (মাস্টাররোল) কর্মচারীরা তাদের অবস্থানে অনড় ছিলেন।

এদিকে স্থায়ী কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল সহ কয়েকজন উপস্থিত হয়ে তাদের এ অবস্থান থেকে সরে এসে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করার জন্য আহবান জানান। তবে অবস্থানরত অস্থায়ী (মাস্টার রোল) কর্মচারীরা তাদের অবস্থান থেকে সরে না আসলে এক পর্যায়ে কর্মচারী সমিতির সভাপতির উপস্থিতিতে গার্ড সুপারভাইজার নাসির উদ্দীন নারায়ে তাকবির আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দেওয়ার মধ্যদিয়ে উপাচার্য দপ্তরের কলাপসিবল গেটে রশি বেঁধে ভাঙচুর করে ভেতরে ঢোকেন।

এসময় প্রশাসনিক ভবনের দুই তলায় উত্তেজনা বিরাজ করে। এক পর্যায়ে অস্থায়ী (মাস্টাররোল) কর্মচারীরা বর্তমান কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল সহ কর্মচারী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আশিকের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাত এর অভিযোগ তোলেন।

গেট ভাঙচুর ও উত্তেজনা বিরাজ নিয়ে কর্মচারী সমিতির সভাপতি তরিকুল ইসলাম বলেন, সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটা বঙ্গবন্ধুর নামে বিশ্ববিদ্যালয়। এরা বিভিন্ন মাধ্যমে টাকা পয়সা দিয়ে এখানে এসেছে। এরা দেখছে সামনে নেত্রীর নির্বাচন। নির্বাচনকে বানচাল করা ও বড় আকারে বিস্ফোরণ করার জন্য এখানে উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান করছে। তারা দেখাতে চায় সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন স্বয়ং গোপালগঞ্জে নেত্রীর অবস্থান নেই এটা মিডিয়াকে দেখানোর জন্য তারা এই অবস্থান করছে। কিছু অসাধু লোক এখানে এসে বিশ্ববিদ্যালয় কে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে, আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।

তবে স্থায়ী কর্মচারী কর্তৃক নারায় তাকবির আল্লাহু আকবর বলে স্লোগান দিয়ে স্থায়ী কর্মচারী কর্তৃক গেট ভাঙচুর করা হয়েছে এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারিনি।

স্লোগান দিয়ে উপাচার্য দপ্তরের গেট ভাঙচুর এর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো: দলিলুর রহমান বলেন, আমরা ভেতরে ছিলাম এ বিষয়ে আমরা এ মুহুর্তে বলতে পারছি না। তদন্ত সাপেক্ষে এ বিষয়ে আমরা বলতে পারব।

প্রসঙ্গত, অস্থায়ী (মাস্টাররোল) ১৩২ জন কর্মচারী চাকরি স্থায়ীকরনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে অবস্থান করছেন।