ডেস্ক রিপোর্ট: নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ছাড়া দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার ঘোষণা দিলেও এই সরকারের অধীনেই নির্বাচনে যেতে পারে বিএনপি। তবে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন ব্যবস্থার প্রতি আপত্তি থাকলেও এ লক্ষ্যে নামসর্বস্ব রাজনৈতিক দলের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠকও করছে দলটি।
জানা গেছে, লন্ডনে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নিজেই ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্তের কাজটি করছেন। আর এটি চূড়ান্ত করতে গিয়ে তারেক জিয়া বেশীর ভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভর করছেন তৃণমূলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাদের ওপর।
বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, বেশ কয়েকমাস ধরে তৃণমূলের সঙ্গে প্রকাশ্যে-অপ্রকাশ্যে লাগাতার বৈঠক করছেন লন্ডনে বিএনপির এই নেতা। সেই বৈঠকে মূলত কয়েকটি সুনির্দিষ্ট প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে তৃণমূলের কাছে। এ ব্যাপারে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা ভোটও দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
প্রার্থী বাছাইয়ের কথা বিএনপির একাধিক নেতাও স্বীকার করেছেন। তবে তারা বলছেন, প্রার্থী বাছাইয়ের সঙ্গে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবির কোনো সাংঘর্ষিক অবস্থান নেই। তাদের মতে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আদলে গঠিত হওয়ার পর বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত রয়েছে। কিন্তু সে পর্যন্ত আওয়ামীলীগের সাথে সমতোঝা হলে এই সরকারের অধীনেও নির্বাচনে যেতে পারে এবং সেই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য বিএনপিকে একটি যোগ্য প্রার্থীর তালিকা তৈরি করতে হবে। সেই কাজটিই আগাম করছে বিএনপি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ঢাকায় মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, মীর্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, আব্দুল আউয়াল মিন্টু, রুহুল কবির রিজভী, বরকতুল্লাহ বুলু, হারুন-উর-রশীদ এমপি, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা এমপি, শ্যামা ওবায়েদ নিয়মিত লন্ডনে যোগাযোগ করছেন এবং প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা নিয়ে বিভিন্ন রকম আলাপ-আলোচনায় অংশগ্রহণ করছেন।
এছাড়া ৯০ দশকের সাবেক ছাত্রনেতাসহ বেশ কয়েকজন আইনজীবিদের নেতা তারেক জিয়ার সাথে বিভিন্নভাবে যোগাযোগ অব্যাহত রাখছেন।
আর লন্ডনে তারেক জিয়ার নিজস্ব একটি টিম সারাদেশে বিএনপির প্রার্থীদের অবস্থান নিয়ে একাধিকবার জরিপ পরিচালনা করছেন। বিএনপিতে সম্ভাব্য কারা প্রার্থী হতে পারে সে বিষয় নিয়ে খোঁজখবর নিচ্ছেন। এই সমস্ত খোঁজখবর নেয়ার মাধ্যমে বিএনপি প্রায় এক হাজার সদস্যের একটি খসড়া প্রার্থী তালিকা আগাম প্রস্তুত করে রেখেছে।
বিএনপির অন্তত ১৫/২০ জন নেতা বলেছেন, বিএনপির একাধিক নেতাকে আগামী নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে এই নির্দেশ তার মনোনয়নের নিশ্চয়তা কিনা, সে ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলেননি।
আমাদের সময়.কম
