Home প্রচ্ছদ গরিব হওয়ার যন্ত্রণা আমি বুঝি–অর্থমন্ত্রী

গরিব হওয়ার যন্ত্রণা আমি বুঝি–অর্থমন্ত্রী

35

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, গরিব হওয়ার যন্ত্রণা আমি বুঝি। এবারের বাজেট ছাড়া আমি গত তিন বছরে তিনটা বাজেট দিয়েছি। এবারের বাজেটসহ গত তিনবারের কোনো বাজেটই গরিব মারার ছিল না। আমরা সবসময় দেশের জনগণের কথা চিন্তা করে বাজেট দেই। শুক্রবার (১০ জুন) বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।

মন্ত্রী বলেন, এবার আমরা যে বাজেট প্রণয়ন করেছি, সেটি আমার মনে হয় দেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর বাজেট। সবাইকে উদ্বুদ্ধ করার জন্যই এবারের বাজেট দেওয়া হয়েছে। গত তিন বছর (২০১৮ থেকে ২০২১ সাল) আপনারা ঠকেননি। যা বলেছি, তা-ই হয়েছে। গরিব হওয়া যে কত কষ্টের সেটা আমি হাড়ে হাড়ে বুঝি। প্রত্যেকটা গরিব মানুষকে সামনে রেখেই বাজেট করি। সুতরাং, এটা নিয়ে আপনাদের দুশ্চিন্তা করার কারণ নাই।

‘তবে একটা বিষয় মনে রাখবেন, যখনই কোনো চ্যালেঞ্জ আসে, চ্যালেঞ্জ শুধু একা আসে না, সুযোগও নিয়ে আসে। যেমন- আমাদের রপ্তানি আয় বেড়েছে। এই মুহূর্তে বিশ্বের কোনো দেশের ৫০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় নেই। কিন্তু আমরা করছি। সেজন্যই বলি, চ্যালেঞ্জের সঙ্গে সঙ্গে অনেক সুযোগ তৈরি হয়।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, বর্তমানে আমাদের অনেক পণ্যের দাম একটু বেশি, এটা সত্য। তবে এটা হয়েছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে। এর ফলে সারাবিশ্বেই নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এখানে কারও হাত নেই। এজন্য অনেকে গরিব মারার বাজেট বলছে। তবে আমরা গরিববান্ধবসহ দেশের সাধারণ জনগণকে গুরুত্ব দিয়েই আগামী বাজেট তৈরি করেছি।

মহামারি করোনার কারণে প্রথা ভেঙে ২০২০-২১ অর্থবছরের ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অর্থ মন্ত্রণালয়। এরপর ২০২১-২২ অর্থবছরে সীমিত পরিসরের পাশাপাশি ভার্চুয়ালি বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন করা হয়। অর্থাৎ তিন বছর পর আজ (শুক্রবার) স্বাভাবিক নিয়মে বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলন হচ্ছে।

এবারের প্রস্তাবিত বাজেটের আকার দাঁড়িয়েছে ছয় লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকা। অর্থমন্ত্রী হিসেবে আ হ ম মুস্তফা কামালের এটি চতুর্থ বাজেট। আর বাংলাদেশের জন্য ৫১তম।