Home রাজনীতি খুলনায় সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে: মির্জা ফকরুল

খুলনায় সরকার সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে: মির্জা ফকরুল

54

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ২২ অক্টোবর খুলনায় আমাদের বিভাগীয় সমাবেশ আছে। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে সরকার ইতিমধ্যে একটা সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করছে খুলনায়। তারা পথে পথে নেতাকর্মীদেরকে, সাধারণ মানুষকে গ্রেফতার করছে।খুলনার বিভাগীয় সমাবেশে ‘কোনো অঘটন হলে এর সম্পূর্ণ দায় সরকারকেই নিতে হবে। শুক্রবার সকালে গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, খুলনার সমাবেশে যেন বাধা সৃষ্টি করা না হয় তার জন্য আমি আহবান জানাচ্ছি। যদি কোনো রকম সমস্যা তৈরি হয় তার সকল দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকে নিতে হবে। এটা প্রমাণিত হবে যে, এই সরকার আসলে গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, আমাদের সভা-সমাবেশ তারা করতে দিতে চায় না।

মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন, ‘শুধু তাই নয়, গতকাল রাতে তারা আমাদের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যেখানে তিনি এটার দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা হিসেবে গিয়েছেন, তিনি যে বাসায় অবস্থান করছেন সেখানে পুলিশ রেইট করেছে এবং সেখান থেকে ১৯ জনকে গ্রেফতার করেছে। আমি কিছুক্ষণ আগে খবর নিয়েছি যে, এখন নির্দেশ দিয়েছে যে, পথে পথে যাকে যেখানে পাওয়া যাবে তাকে সেখানে গ্রেফতার করার জন্য।

গতকাল তারা রামদা, লাঠিসোটা অস্ত্র নিয়ে শোডাউন করেছে, মোটরসাইকেল নিয়ে বিভিন্নভাবে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। আমি এই গ্রেফতার এবং এই সন্ত্রাস সৃষ্টি করবার যে প্রচেষ্টা তার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি এবং অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।

জ্বালানি তেল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, ভোলা-মুন্সিগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ-যশোরে পুলিশের গুলিতে ৫ জন নিহত এবং সারাদেশে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিবাদে শনিবার দুপুরে খুলনায় সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় সমাবেশ হবে।

সমাবেশ উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার গণপরিবহন ধর্মঘটের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজ যেটা হয়েছে যে, সমস্ত গণপরিবহন তারা বন্ধ করে দিয়েছে এবং কথা আছে যে, ট্রেন তারা…, লঞ্চও বন্ধ করছে। কিন্তু এটাতে সাধারণ মানুষের যে জীবনযাত্রা তাকে সম্পূর্ণভাবে পরিকল্পিতভাবে ব্যাহত করছে।

এখানে প্রমাণিত হয়েছে যে, সরকার চায় না যে, মানুষ একটা গণতান্ত্রিক উপায়ে তাদের যে কথা, তাদের যে বক্তব্য, তাদের যে প্রতিবাদ সেটা প্রকাশ করুক। তারা একটা সংঘাতের দিকে চলে যাওয়ার জন্য প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সরকারকে এই রাস্তা থেকে ফিরে এসে গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরি করার জন্য আহবান জানাচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু উপস্থিত ছিলেন।