ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হার্ট অ্যাটাক করেছেন। চিকিৎসকরা তার এনজিওগ্রাম করেন। এতে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসকরা সফলভাবে সেখানে রিং বসান। এতথ্য জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার (১১ জুন) দুপুরে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়ার সর্বশেষ শারীরিক অবস্থার কথা জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল রাতে তিনি (খালেদা জিয়া) অসুস্থ হয়ে পড়লে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ভর্তি করার পর উনার আরেকটি উপসর্গ দেখা দেয়। উনার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়।
তিনি জানান, চিকিৎসকরা তার এনজিওগ্রাম করেন। এতে তার হার্টে ব্লক ধরা পড়ে। তখন চিকিৎসকরা সফলভাবে সেখানে রিং বসান। চিকিৎসকরা আশা করছেন, তিনি হৃদরোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
তিনি আরো বলেন, গত রাতে খালেদা জিয়ার মাইল্ড হার্টঅ্যাটাক হয়েছে। আমরা আগে থেকেই বলে আসছি তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য জরুরি ভিত্তিতে বিদেশে নেওয়া প্রয়োজন। কিন্তু সরকার এ বিষয়ে কর্ণপাত করছে না। খালেদা জিয়ার কিছু হলে এর দায় সরকারকে নিতে হবে।
গতকাল হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে শুক্রবার দিবাগত রাত সোয়া ৩টায় তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালের করোনারি কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ভর্তি করা হয়েছে।
অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের তত্ত্বাবধানে শুক্রবার রাত ৩টা ২০ মিনিটে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে ভর্তি করা হয়। এর আগে খালেদা জিয়া বাসা থেকে রাত ২টা ৫৫ মিনিটে বের হন।
এর পর ১৮ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন হয়। অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক মোমিন-উজ জামান ও অধ্যাপক সামস মনোয়ার বোর্ডে রয়েছেন ।
সকাল সাড়ে ১০টায় মেডিকেল বোর্ড বৈঠকে বসে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও এ বৈঠকে যোগ দেন।
বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় ধরে আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
এর আগে আড়াই মাস হাসপাতালে থাকার পর ফেব্রুয়ারির শুরুতে গুলশানের বাসায় ফিরেছিলেন খালেদা জিয়া।