Home রাজনীতি কয়েক দিন পর সাদা পতাকা নিয়ে মিছিল করবে বিএনপি: সাঈদ খোকন

কয়েক দিন পর সাদা পতাকা নিয়ে মিছিল করবে বিএনপি: সাঈদ খোকন

30

ডেস্ক রিপোর্ট: ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে এখন কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করছে। কয়েক দিন পর তারা সাদা পতাকা নিয়ে মিছিল করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট তারা আত্মসমর্পণ করবে।’

শনিবার (২৬ আগস্ট) পুরান ঢাকার চকবাজারে এক দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচিত মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এই দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ৩২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেন, কালো পতাকা হচ্ছে শোকের প্রতিক। বিএনপি সম্ভবত আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে কালো পতাকা নিয়ে মিছিল করেছে। আর সাদা পতাকা হচ্ছে আত্মসমর্পণের প্রতীক। কয়েকদিন পরে তারা সাদা পতাকা নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নিকট আত্মসমর্পণের জন্য যাবেন। আমার ধারণা, শেখ হাসিনা তাদের গ্রহণ করবেন এবং সুস্থ ধারায় রাজনীতি করার সুযোগ দিবেন।

সাবেক এই মেয়র বলেন, দেশের সবাইকে নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের কল্যানে আমরা কাজ করতে চাই। কারন, দেশে যখন কোনো সমস্যা আসে তখন কোনো দল, ধর্ম-বর্ণ বিবেচনা করে আসে না। তাই আমরা সকলকে নিয়ে জনগনের জন্য কাজ করতে চাই। জাতীয় সমস্যা সবাইকে নিয়ে মোকাবেলা করতে চাই।

বঙ্গবন্ধুকে স্বপরিবারে হত্যার কথা স্বরণ করে সাঈদ খোকন বলেন, বাংলাদেশ স্বাধীন দেশ হিসেবে যাতে এগিয়ে যেতে না পারে, এ দেশের মানুষ যাতে স্বাধীনভাবে মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে না পারে এবং যে উদ্দেশ্য নিয়ে এ দেশের মানুষ মুক্তির সংগ্রাম করেছিল- সে উদ্দেশ্য যাতে সফল না হতে পারে সেজন্য জাতির জনককে স্বপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা জাতির পিতা হত্যার বিচার করেছেন।

বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আদর্শিক লড়াই ও সুদক্ষ নেতৃত্বের মাধ্যমে সমগ্র জাতির শোককে আজ শক্তিতে রূপান্তরিত করেছেন উল্লেখ করে সাঈদ খোকন বলেন, শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, নিরলস পরিশ্রম ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার কারণে করোনা মহামারির সময়েও বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত রয়েছে। দুর্ভাগ্যের বিষয় হলো জাতির পিতার হত্যাকান্ডের মধ্য দিয়ে বেনিফিশিয়ারি হিসেবে চিহ্নিত একটি মহল এখনও দেশ ও জাতির এই ক্রান্তিকালে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। আজও তারা অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক উপায়ে রাষ্ট্রক্ষমতা দখলের দুঃস্বপ্নে বিভোর হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত নির্লজ্জভাবে মিথ্যা-বানোয়াট তথ্য উপস্থাপনের মধ্য দিয়ে তারা জাতিকে বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। তবে সকল বাধা-বিপত্তি জয় করে শেখ হাসিনা আজ বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে এক মর্যাদাশীল জাতি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

পরে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নির্মম রাতে শাহাদাত বরণকারী বঙ্গবন্ধু ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় গরীব, দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়।