Home কৃষি কয়রায় ধানে কারেন্ট পোকার উপদ্রবে সচেতনতা প্রচার

কয়রায় ধানে কারেন্ট পোকার উপদ্রবে সচেতনতা প্রচার

55

এস. এম সাব্বির হোসেন, কয়রা, খুলনা।।
কয়রা উপজেলার বাগালী ইউনিয়নে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মাইকে বাদামী গাছ ফড়িং ও ক্যারেন্ট পোকা আক্রমণের সচেতনতা প্রচার চালানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার দিনভর বাগালী ইউনিয়ন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. আল-মাহফুজ বাগালী ইউনিয়নের বিভিন্ন হাটবাজার এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বাদামি গাছ ফড়িং ও কারেন্ট পোকা আক্রমণের সচেতনতা বিষয়ে প্রচার করেন।

এসময় তিনি বলেন, জমিতে এ সময় বাদামি গাছ ফড়িং বা কারেন্ট প্রকার আক্রমণ দেখা দিতে পারে। এ অবস্থায় আক্রান্ত জমির পানি সরিয়ে সাত থেকে আট দিন জমি শুকনো রাখতে হবে এবং আক্রান্ত জমিতে দুই থেকে তিন হাত দূরে দূরে সূর্যের আলো ও বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে। নিয়মিত ক্ষেত পরিদর্শন করতে হবে। অন্যথায় সরকার অনুমোদিত কীটনাশক উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে গাছের গোড়ায় বিকেলে প্রয়োগ করতে হবে।

বাগালী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের কৃষক মো. রুহুল আমিন বলেন, আমার আমন ধানের জমিতে কারেন্ট পোকা লেগেছিল। পরবর্তীতে আমি বাগালী ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে কৃষি কর্মকর্তা মো. আল মাহফুজের পরামর্শে জমিতে কীটনাশক ব্যবহার করি, এখন আপাতত ভালো আছে।

বাগালী ইউনিয়ন পরিষদের ৫নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. আতিয়ার রহমান বলেন, এসময় ধানে কারেন্ট পোকা লাগে। এবছর মাইকে প্রচার করছে। এতে কৃষকরা আরও সচেতন হবে, এবং দ্রুত কৃষি অফিসের পরামর্শে কীটনাশক ব্যবহার করে পোকা আক্রমণের হাত থেকে ফসল রক্ষা পাবে।

উপজেলা কৃষি অফিসার মো: আব্দল্যাহ আল মামুন বলেন, বর্তমান আবহাওয়া বাদামি ঘাস ফড়িংয়ের জন্য উপযোগী। কিছু জমিতে এর উপদ্রব ছিল। আমরা সরজমিনে পরিদর্শনপূর্বক কৃষকদের কীটনাশক স্প্রে করার পরামর্শ প্রদান করছি। বর্তমানে কারেন্ট পোকা নিয়ন্ত্রণে আসছে। এছাড়া কৃষককে সচেতন করতে মাইকিং, লিফলেট, মসজিদ, মন্দিরে প্রচার কাজ চলমান। আমরা আশা করছি, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় এবার আমনের বাম্পার ফলন হবে।