Home কৃষি কেরানীগঞ্জে কৃষিজমি রক্ষায় ও সরকারি খাল-জলাশয় উদ্ধারের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন

কেরানীগঞ্জে কৃষিজমি রক্ষায় ও সরকারি খাল-জলাশয় উদ্ধারের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন

22

স্টাফ রিপোটার: ঢাকার উপকণ্ঠ কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলের অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, আবাসন কোম্পানি ‘মধুসিটি হাউজিং’ সন্ত্রাসী বাহিনীর মাধ্যমে এলাকার কৃষিজমি দেদারছে দখল করে বালু ভরাটের মাধ্যমে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে। এলাকার বেশিরভাগ সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও বেদখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে কোম্পানিটি। সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার এবং কৃষিজমি রক্ষায় থানায় বহু মামলা ও সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে এবং উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়েও প্রতিকার পাননি এলাকাবাসী।

বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেদখলকারীদের কবল থেকে সরকারি খাল-বিল-জলাশয় উদ্ধার এবং তিন ফসলী কৃষিজমি রক্ষার দাবিতে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন।

ভূমিদস্যুদের থাবায় কৃষিজমিহারা কৃষক, বসত-ভিটা হারানো নিরীহ মানুষ, স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিসহ সহস্রাধিক লোকজন ব্যানার নিয়ে এ মানববন্ধনে অংশ নেন।

মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ এলাকার তিন ফসলী কৃষিজমি এবং সরকারি খাল-বিল-জলাশয় বেদখলকারী ‘মধুসিটি হাউজিং’য়ের মালিক দুই ভাই ছলিম উল্যাহ ও হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেফতার কওে বিচারের দাবি জানান। একইসঙ্গে এব্যাপারে তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

মানববন্ধনে স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি কৃষিবিদ মোসলেহ উদ্দিন ফারুক বলেন, ভূমিদস্যুদের কবলে পড়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন কাঠালতলী, চন্ডিপুর ও বেলনাসহ প্রায় পুরো এলাকা কৃষিজমিহীন হওয়ার উপক্রম। সরকারি খাল-বিল-জলাশয়ও রেহাই পাচ্ছে না তাদের হাত থেকে। এতে শুধু এলাকার কৃষিজমিই হ্রাস পাচ্ছে না, এলাকার পরিবেশও মারাত্বক হুমকির মুখে পড়ছে।

কৃষক মোহাম্মদ হাফিজ বলেন, মধুসিটি জোর করে মানুষের বসতভিটা ও কৃষিজমি বেদখল করছে। কেউ প্রতিবাদ করলে ভুয়া মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এডভোকেট মাসুদ বলেন, নিজের কৃষিজমি ও বসতভিটা রক্ষায় স্থানীয়দের রীতিমতো সংগ্রাম করতে হচ্ছে। বেদখলকারীদের ভয়ে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। কৃষক সারোয়ার হোসেন বলেন, নামমাত্র মূল্যে জোর করে মানুষের কৃষিজমি দখল করে নিচ্ছে মধুসিটি। প্রতিবাদ করলে ‘মোটরসাইকেল বাহিনী’ নামক সন্ত্রাসী দিয়ে আক্রমণ চালানো হয়। এতে সেখানকার কৃষকরা ভীতসন্ত্রস্ত। জমি হারানো সালাহউদ্দিন বলেন, রাতের আঁধারে বালু ফেলে স্থানীয়দের কৃষিষজমি দখল করে নেওয়া হচ্ছে। স্থানীয় নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি রুহুল আমিন বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কৃষিবান্ধব। চলমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বারবারই কৃষিজমি রক্ষার এবং ফসল ফলানের আহবান জানাচ্ছেন।