Home রাজনীতি কাজী আরেফসহ চার জাসদ নেতার হত্যা দিবস পালন করেছে জাসদ

কাজী আরেফসহ চার জাসদ নেতার হত্যা দিবস পালন করেছে জাসদ

61

ডেস্ক রিপোর্ট: জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ ১৬ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ১৯৯৮ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কালিদাসপুরে জাসদ আয়োজিত সন্ত্রাস বিরোধী জনসভায় চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ-সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী আন্দোলন-যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের আন্দোলনের পথিকৃত, জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা জাতীয় বীর কাজী আরেফ আহমেদ, কুষ্টিয়া জেলা জাসদের তৎকালীন সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা লোকমান হোসেন, তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী, জাসদ নেতা ইসমাইল হোসেন তপসের ও শমসের মন্ডলের ২৩তম হত্যা দিবস পালন করে। এ সকল কর্মসূচির মধ্যে ছিল আজ বুধবার ভোর ৬ টায় জাসদ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, সকাল ৯ টায় বীরমুক্তিযোদ্ধা কবরস্থানে শহীদ কাজী আরেফের সমাধিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং বিকাল ৪ টায় কর্নেল তাহের মিলনায়তনে আলোচনা সভা।

বিকাল ৪ টায় নগরীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে শহীদ কর্নেল তাহের মিলনায়তনে জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু এমপির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ আলোচনা সভায় অনলাইনে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন ১৪ দলের সমন্বয়ক ও আওয়ামী লীগ উপদেষ্টামণ্ডলির সদস্য আমীর হোসেন আমু এমপি, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন এমপি সাম্যবাদী দল (মা-ল) এর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া এবং সভাস্থলে বক্তব্য রাখেন জাসদের সাধারণ সম্পাদক শিরীন আখতার এমপি, সহ-সভাপতি ফজলুর রহমান বাবুল, বীরমুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম, বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাদের চৌধুরী, মোখলেছুর রহমান মুক্তাদির, রোকনুজ্জামান রোকন, শওকত রায়হান, ওবায়দুর রহমান চুন্নু, জাতীয় শ্রমিক জোট-বাংলাদেশ এর সভাপতি সাইফুজ্জামান বাদশা, তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এবং কাজী আরেফ আহমেদের ভ্রাতুস্পুত্রী কাজী সালমা সুলতানা, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সভাপতি রাশিদুল হক ননী প্রমূখ।

সভাপতির ভাষণে জনাব হাসানুল হক ইনু এমপি স্বাধীনতা সংগ্রাম-মুক্তিযুদ্ধ-সমাজ পরিবর্তনের বিপ্লবী সংগ্রামের পথিকৃত, জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, সামরিকতন্ত্র-সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী প্রগতিশীল সংগ্রামের অগ্রসেনানী, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার ও ধর্মভিত্তিক সাম্প্রদায়িক রাজনীতি নিষিদ্ধের আন্দোলনের অগ্রসেনানী জাতীয় বীর প্রয়াত নেতা কাজী আরেফ আহমেদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, কাজী আরেফ আহমেদ আজীবন সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিকতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। জনাব ইনু বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সমারিকতন্ত্রÑএই দুই জমজ শত্রু এখনো ছদ্মবেশে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শত্রুতা করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, বিএনপি-জামাত এখনও সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিকতন্ত্রÑ এই দুই জমজ শত্রুকে আঁকড়ে ধরেই বাংলাদেশ বিরোধী রাজনীতি করছে। বিএনপি-জামাতের নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিটাই ছদ্মবেশে রাষ্ট্র ও রাজনীতিতে সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিকতন্ত্র ফিরিয়ে আনারই রাজনীতি। জনাব ইনু বলেন, কাজী আরেফের আদর্শকে লালন করেই সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিকতন্ত্রÑ বাংলাদেশের এই জমজ শত্রুকে ফিরিয়ে আনার ছদ্মবেশী রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। জনাব ইনু বলেন, সাম্প্রদায়িকতা ও সামরিকতন্ত্র ফিরিয়ে আনার রাজনীতি মোকাবেলার ধারাতেই দুর্নীতি ও লুটপাটের সিন্ডিকেট ধ্বংস এবং বৈষম্য সৃষ্টির অর্থনীতি পাল্টে দিয়ে সমাজতন্ত্রের পথে যাওয়ার সংগ্রাম এগিয়ে নিতে হবে।