Home সারাদেশ কসবার জাজিয়ারা মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম

কসবার জাজিয়ারা মসজিদ কমিটি নিয়ে বিরোধে মুক্তিযোদ্ধাকে কুপিয়ে জখম

40

বিশেষ প্রতিনিধি : ওয়াকফ প্রশাসক কর্তৃক নিযুক্ত কমিটি নিয়ে ব্রাম্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার জাজিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের কমিটি নিয়ে বিরোধে কুটি ইউনিয়ন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মহসীন মূলক (৭৩) ও হাবিবুর রহমানকে (৬৫) কুপিয়ে জখম করে। এ ঘটনায় ৪২ জনকে আসামী করে গত শনিবার (১০ জুন ২০২৩) কসবা থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ্য করা হয় –

“যথাবিহীত সম্মান পূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী থানায় হাজির হইয়া বিবাদীদের বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, বিবাদীগন লাঠিয়াল, সন্ত্রাস, প্রতারক, দাঙ্গাবাজ, মাদক সেবী ও মাদক ব্যবসায়ী, অসৎ ও ঝগড়াটে প্রকৃতির লোক। আমার বাড়ী ও বিবাদীগনের বাড়ী একই গ্রামের পাশাপাশি পাড়ার বাসিন্দা। বিবাদীগনের সাথে জাজিয়ারা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ ওয়াকফ্ এস্টেট ইসি নং- ২২৪৬০, এর কমিটি নিয়া পূর্ব হইতে মত বিরোধ চলিয়া আসিতেছে।

অদ্য ১০/০৬/২০২৩ ইং রোজ শনিবার বিকাল অনুমান ৫ টা ৩০ মিনিট সময়ে আমি ও ১/২নং সাক্ষী আছরের নামাজ শেষে পায়ে, হাটিয়া নিজ বাড়ীতে যাওয়ার পথে সকল বিবাদীগন পূর্ব হইতে দা, লাঠি, রড, ছুরা, হকিষ্ট্রিক ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রে শস্ত্রে সু- সজ্জিত হইয়া ঘটনাস্থলে ওৎ পাতিয়া থাকিলে উক্ত সময় সকল বিবাদীগন আমি ও ১/২নং সাক্ষীকে পথ রোধ করত: বিবাদীগন আমাদেরকে অশ্লীল গালিগালাজ করত: খুন করার ভয় ভীতি প্রদর্শন করে।

আমি ও ১/২নং সাক্ষী বিবাদীগনকে বাধা দিলে ১নং বিবাদীর হুকুমে ৩নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে ১নং সাক্ষীর মাথার মধ্যে স্বজোরে কোপ মারিয়া
১নং সাক্ষীকে গুরতর রক্তাক্ত ও হাড় কাটা জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে ১নং সাক্ষীর ডান হাতের কবজির উপর স্বজোরে বারিমারিয়া ১নং সাক্ষীকে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা ও রক্তাক্ত জখম করে। ৫নং বিবাদীর
হাতে থাকা হকিষ্টিক দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমি বাদীর বাম চোখের নিচে ও মুখের উপরের ঠোটে স্বজোরে বারিমারিয়া আমাকে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা ও রক্তাক্ত জখম করে।

১১নং বিবাদীর হাতে থাকা রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে আমি বাদীর মুখের মধ্যে স্বজোরে বারিমারিয়া আমার মুখের উপরের মাড়ির দুইটি দাত ভাঙ্গিয়া নরবরে করত: রক্তাক্ত জখম করে। ৪নং বিবাদীর হাতে থাকা ধারালো দা দিয়া খুন করার উদ্দেশ্যে ২নং সাক্ষীর মাথার মধ্যে স্বজোরে কোপ মারিয়া ২নং সাক্ষীকে গুরুতর রক্তাক্ত ও হাড় কাটা জখম করে। ১৯নং বিবাদীর হাতে থাকা রড দিয়া হত্যার উদ্দেশ্যে ২নং সাক্ষীর ডান হাতের কবজির উপরে স্বজোরে বারিমারিয়া ২নং সাক্ষীকে মারাত্মক হাড় ভাঙ্গা ও রক্তাক্ত জখম করে। ৯/১০/৩৮ নং বিবাদী খুন করার উদ্দেশ্যে আমি ও ১/১নং সাক্ষীর গলায় স্বজোরে চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরোধ করিয়া আমাদেরকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে।

অতঃপর সকল বিবাদীগন খুন
করার উদ্দেশ্যে তাদের হাতে থাকা রড, লাঠি, ও হকিষ্টিক দিয়া আমি ও ১/২নং সাক্ষীর পায়ে, পিঠে, বুকে, মাথায় ও সারা শরীরে এলোপাথারী ভাবে বাইরাইয়া আমাদেরকে শক্ত, দাগ, ছেচা, ফুলা ও রক্তাক্ত জখম করে। আমি ও ১/২নং সাক্ষীর নিকটে থাকা টার্চ মোবাইল তিনটি যাহার মূল্য- ৬২,০০০/- টাকা, ৬/১৩/২৪ নং বিবাদী মোবাইল তিনটি আমি ও ১/২নং সাক্ষীর নিকট হইতে অসৎ উদ্দেশ্যে নিয়া যায়। ১নং সাক্ষীর প্যান্টের ডান পকেটে থাকা নগদ- ৫২,৮০০/- টাকা ১নং বিবাদী উক্ত টাকা ১নং
সাক্ষীর পকেট হইতে নিয়া যায়।

আমি ও ১/২নং সাক্ষীর আর্তচিৎকারে মানিত সাক্ষীগন সহ আশপার্শ্বের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিয়া আমি ও ১/২নং সাক্ষীকে বিবাদীদের হিংস্র কবল হইতে উদ্ধার করে এবং আমি ও ১/২নং সাক্ষীকে রক্তাক্ত অবস্থায় কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়া চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে যাহার ভর্তির রেজি নং- ১৪১৫/১০৩, ১৪১৬/১০৪, ১৪১৭/১০৫ তারিখ:- ১০/০৬/২০২৩ ইং এবং ১/ ২নং সাক্ষীর জখমের ছবি অত্র সঙ্গে সংযুক্ত করিলাম। কসবা হাসাপাতালের ”কর্তব্যরত ডাক্তার চিকিৎসক ১ ও ২নং সাক্ষীর অবস্থায় খারাপ দেখিয়া ১ ও ২নং সাক্ষীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল
কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে। ১ ও ২নং সাক্ষীর অবস্থা আশংকা জনক যে কোন সময়ে ১ ও ২নং সাক্ষী মৃত্যু বরন করিতে পারে।

ঘটনার পর বিবাদীগন সন্ত্রাসী মহড়া প্রদর্শন করত: প্রকাশ্যে হুমকি দিয়া বলিয়া আসিতেছে যে, বিবাদীগন যে কোন সময়ে আমাদেরকে খুন করিয়া লাশ ফেলিবে।”