Home সারাদেশ কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

কলারোয়ার চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ

35

কলারোয়া(সাতক্ষীরা)প্রতিনিধিঃ কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজারে পেরিফেরিভুক্ত দোকান ঘর অর্থের বিনিময়ে একই পরিবারের একাধিক সদস্যের নামে অন্তভূক্তি এবং ভুল তথ্য অনুমোদন দিয়ে একক নামে মাপের অধিক বরাদ্দ দেয়ার অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ীরা ভূমি মন্ত্রণালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে-দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে থেকে চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া বাজারে ১একর ৩৮শতক সরকারি জমিতে ব্যবসয়ীরা দোকান ঘরে ব্যবসা করে আসছেন। হঠাৎ চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার শেখ মিজানুর রহমান ১৮০টি দোকান ঘরে যেয়ে বলেন প্রত্যেক দোকানীতে ৫০হাজার করে টাকা দিতে হবে। অন্যথায় তারা গয়ড়া বাজারে ব্যবসা করতে পারবেন না। সরকারে নির্দেশ মোতাবেক এই টাকা দিতে হবে বলে চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার শেখ মিজানুর রহমান প্রত্যেক দোকানীতে জানান। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এর প্রতিকার চেয়ে ভূমি মন্ত্রী, চেয়ারম্যান দুর্নীতি দমন কমিশন, উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন সাতক্ষীরা, উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলারোয়া, সহ-কমিশনার (ভুমি) কলারোয়া সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে এ অভিযোগ দেন। গয়ড়া বাজারের ব্যবসায়ী তুহিন হোসেন বলেন-ইউনিয়ন ভ‚মি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ভূমি মন্ত্রনালয়ে অভিযোগ দিয়েছেন। ভূমি মন্ত্রনালয়ের সহকারী সচিব জমিস উদ্দিন পাটওয়ারী বিষয়টি তদন্তপূর্বক অভিযোগের সত্যতা পেলে আইনানুগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ৭নভেম্বর-২২তারিখে জেলা প্রশাসক সাতক্ষীরার কাছে অনুলিপি প্রেরণ করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার শেখ মিজানুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন-এ অভিযোগের সব তদন্ত শেষ হয়ে গেছে। এর কোন সতত্যা নেই, গয়ড়া বাজারে পেরিফেরিভুক্ত দোকান ঘর বরাদ্দ দেয়ার জন্য অনুমোদ হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী প্রত্যেক দোকানী ঘর বরাদ্দ পাবেন। হয়তো সরকারি নিয়ম অনুযায়ী কোন কোন দোকানী ঘর বরাদ্দ নেবেন না তাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার হয়রানী করার জন্য দরখাস্ত করেছে। এদিকে চন্দনপুর ইউপি চেয়ারম্যান ডালিম হোসেন বলেন-চন্দনপুর ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ দেয়া হয়েছে তাতে যাদের নাম ও স্বাক্ষর রয়েছে সেগুলা সব মিথ্যা। ওই দরখাস্তে কেই স্বাক্ষর করেননি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুলী বিশ্বাস বলেন-তদন্তে অভিযোগের কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি।