Home রাজনীতি এ সরকার দেশের কথা একবারও চিন্তা করে না : সালাম

এ সরকার দেশের কথা একবারও চিন্তা করে না : সালাম

30

স্টাফ রিপোটার: বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আহবায়ক আব্দুস সালাম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের কাছে বিচার দেন, আমরা নিরপেক্ষ নির্বাচন চাই। চীনের প্রেসিডেন্টের কাছেও বিচার দিলেন। ভারতের কাছেও একই বিচার। অথচ, ১২ লক্ষ রোহিঙ্গা ফিরিয়ে নেওয়ার কথা বলেন না। চেয়েছিলেন নোবেল পুরস্কার পাবেন। দেশের কথা একবারও চিন্তা করেন না।

শুক্রবার বিকালে বিএনপির নয়াপল্টন কার্যালয়ে সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন ও সরকার পতনের একদফা দাবিতে কালো পতাকা মিছিলপূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত এ কালো পতাকা মিছিলূর্ব সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহবায়ক আব্দুস সালাম। ঢাকা দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ইউনুস মৃধা লিটন মাহমুদ ও আনম সাইফুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলু, মোহাম্মদ শাহজাহান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল, মহানগর নেতা নবী উল্লাহ নবী, মোশাররফ হোসেন খোকন, মো. মোহন, আব্দুস সাত্তার, মনির চেয়ারম্যান প্রমুখ। বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এ কালো পতাকা মিছিলে অংশ নেন।

সালাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের বলেন, দেশে স্থিতিশীলতার কারণে উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। আজকে যদি বিএনপি ক্ষমতায় থাকতো আওয়ামী লীগ কি দেশকে স্থিতিশীল রাখতো? বিএনপি দেশ ও জনগণের জন্য রাজনীতি করে। তাই ১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী হয়েও খালেদা জিয়া ক্ষমতা ছেড়ে দেন। অথচ, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়েও ক্ষমতা আঁকড়ে ধরে আছেন। এখানে খালেদা জিয়া ও শেখ হাসিনার মধ্যে পার্থক্য। এখানেই বিএনপি ও আওয়ামী লীগের তফাত।

তিনি বলেন, আজকে সরকার বিদেশের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কারণ জনগণ আপনাদের সাথে নেই। বিদেশীদের কাছে না গিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমা চান। তত্ত্বাবধায় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। হয়তো জনগণ আপনাদের ক্ষমা করে দিবে।

বিকেল সাড়ে চারটায় নয়াপল্টন থেকে এ কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। এটি মতিঝিল, ইত্তেফাক, টিকাটুলী হয়ে দয়াগঞ্জ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।