Home প্রচ্ছদ এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বের জন্য উদাহরণ

এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অগ্রগতি বিশ্বের জন্য উদাহরণ

146

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ সম্পদের অপ্রতুলতা নিয়েও যেভাবে এসডিজি (টেকশই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা) অর্জনে কাজ করেছে তা গোটা বিশ্বের জন্য নজির সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন রিপোর্ট এসডিজির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ তিন নম্বরে থাকলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বাংলাদেশ সবার থেকে এগিয়ে। টেকশই উন্নয়নের জন্য অংশীদারিত্ব শীর্ষক এক আন্তর্জাতিক সভায় প্রধানন্ত্রীর সাবেক মূখ্য সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর এজডিজি বিষয়ক সাবেক প্রধান সমন্বয়ক আবুল কালাম আজদ বলেন,উন্নত দেশগুলোর জন্য এটি ফ্যাশন হলেও বাংলাদেশের জন্য এজডিজি জীবন-মরণ চ্যালেঞ্জ। এজডিজির বাস্তাবায়ন করতে না পারলে জলবায়ু মোকাবেলা, দারিদ্র বিমোচনসহ সরকারের ‍নেয়া কোন উন্নয়ন কাজই সঠিক দিশায় পৌছাবে না। কোভিড মহামারীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এজডিজির বাস্তবায়ন করতে হলে, পাবলিক-প্রাইভেট, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, সাংবাদিক সব সেক্টরের মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে হবে বলেও মত দেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে কারটিন ইউনিভার্সিটি সাসটেইনেবল পলিসি ইন্সটিটিউটের পরিচালক, বিশ্বের খ্যতনামা এসডিজি গবেষক ও লেখক অধ্যাপক ডক্টর ডোরা মেরিনোভা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, কোভিড মহামারীর আঘাত থেকে বিশ্বকে রক্ষা করতে প্রয়োজন গরীবমূখী পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারিত্ব। ২০৩০ সাল পর্যন্ত এজডিজির সময়সীমা থাকলেও আসন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলও বিশ্বনেতাদের টেকশই উন্নয়ন নিয়ে এর পরেও ভাবতে হবে। শুধু উন্নয়ন পরিকল্পনায়ই নয় বরং চিন্তা চেতনায় টেকশই ভাবনা ও মূল্যবোধের প্রতি গুরুত্ব আরোপ করেন তিনি। দারিদ্র বিমোচনে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের সাফল্য তুলে ধরে তিনি বলেন, উন্নয়নে নারীর অংশগ্রহণে বাংলাদেশ একটি উদাহরণ। বিডার সাবেক চেয়ারম্যান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ও আইডিয়া (ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট) এর চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলাম সমাজের সকল ক্ষেত্রের মধ্যে কার্যকরী সমন্বয় ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার প্রতি জোর দেন। মহামারীর ধাক্কা সামাল দিয়ে উন্নয়নের ধারাকে সমুন্নত রাখতে সম্মিলিত প্রচেষ্টার কোন বিকল্প নেই বলেও মত দেন তিনি। সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রেসিডেন্ট ও আইইউবিএটি’র অধ্যাপক ডক্টর মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তাব্য দেন অস্ট্রেলিয়ার কারটিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ও এসডিজি-বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের প্রধান অধ্যাপক ডক্টর আমজাদ হোসেন। সভাটি পরিচালনা করেন, গবেষক, লেখক ও সাংবাদিক ডক্টর সঞ্জীব রায়।

২৬ জুলাই বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে পাঁচটায় অনুষ্ঠিত এই পাবলিক লেকচারটি যৌথভাবে আয়োজন করে সিমেক ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির এসডিজি একশন রিসার্চ সেন্টার ও ইনোভেশন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট অ্যসোসিয়েশন (আইডিয়া) ফাউন্ডেশন।