Home সারাদেশ ভোলার চরফ্যাশনে জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ

ভোলার চরফ্যাশনে জালিয়াতি করে জমি আত্মসাতের অভিযোগ

95

ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফাশনের আবদুল্লাহপুর ইউনিয়নের শিবারচর মৌজায় ভূয়া দলিল দিয়ে নামজারী মোকদ্দমা করে ২২ একর ৮৫ শতাংশ জমি আত্মসাত করার অভিযোগ উঠেছে শাহাজাহান মুন্সি ও তার ভাইদের বিরুদ্ধে।এসব জমি ভূয়া দলিল দিয়ে নামজারীর মাধ্যমে খতিয়ান সৃজন করে বেচা বিক্রি করেছেন। প্রভাবশালীদের থাবায় জমি হারিয়ে বিপাকে পরেছেন জমির মূল মালিকরা।
জানাযায়, শিবারচর মৌজায় এসএ ৩৯৮ খতিয়ানে ২৬ একর ১০ শতাংশ জমির মালিক ছিলেন সংখ্যালঘু সুধির রঞ্জন। মৃত্যুর আগে তার ভোগদখলীয় ওই জমি এস আলমের নিকট ২ একর ৬১, ইউনুস পাটোয়ারী ২ একর ৬১, আব্দুর রহমান ২ একর ৬১, নজির আহমেদ মুন্সি ১৬ একর ৫, আবুল হোসেন ২ একর ৬১ ও আবুল বাসার ২ একর ৬১ শতাংশ সমুদয় ওই জমি বিক্রি করে যান। বিক্রিত ওই জমি খরিদ সূত্রে মালিক হয়ে ভোগ দখলে বিদ্যমান ছিলেন।
দীর্ঘ সময় ভোগ দখলে থাকার পর সুধির রঞ্জনের মৃত্যুর পর তার চার সন্তান ওই বিক্রিত জমির মালিকানাদাবী করেন এবং খরিদা মালিকদেরকে উচ্ছেদের হুমকি দেন। জমি দখল নিয়ে বিপত্তি শুরু হলে এস আলমসহ ৬ জন জমির খরিদা মালিক বাদী হয়ে ১৯৭০ সনে আদালতে দেওয়ানী মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত ওই মামলায় খরিদা মালিক এস আলমসহ ৬ জনের পক্ষের রায় প্রদান করেন। বিজ্ঞ আদালতের রায়ের অনুকুলে খরিদা মালিকরা নিজেদের নামে নামজারী করে নিজেদের মধ্যে আপষপন্টনের মাধ্যমে ভোগদখল ও চাষ আবাদ করে আছিলেন।
খারিদা মালিক নজির আহম্মেদর মৃত্যুর পর তার ওয়ারিশ সাহজাহান মুন্সিসহ অপর চার সন্তানের নামে বাবার ওয়ারশি ১৩ একর ৫ শতাংশ জমিসহ খরিদা অপর মালিদের ১৩ একর ৫ শতাংশ জমি ভূয়া দলিলের মাধ্যেমে নামজারী মোকদ্দমা করে নিজেদের নামে খতিয়ান সৃজন করে হাতিয়ে নেন। এতেই ক্ষান্ত হননি তারা । ওয়ারিশদের ভোগদখলীয় ১৩ একর ৫ শতাংশ ইতিপুর্বে বেচা বিক্র শুরু করেছেন। বিষয়টি নজরে আসার পর খারিদা মালিক আবুল বাসারের ওয়াররিশ তার ভ্রাতপুত্র সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে নামজারী খতিয়ান সংশোন করার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনার বারবারে আবেদন করেন। ওই আবেদন বিচারাধীন রয়েছেন।
আবুল বসারের ভ্রতপুত্র সিরাজুল ইসলাম জানান, তার বাবার মৃত্যুপর ভূয়া দলিল দেখিয়ে নামজারী মাধ্যমে খতিয়ান সৃজন করে তার বাবার ২ একর ৬১ শতাংশ জমিসহ অপর ওয়ারিশদের সমুদয় ১০ একর ৪৪ শতাংশ জমি হতিয়ে নিয়ে বেচা বিক্র শুরু করায় বিপাকে পরেছেন তারা। এটনায় সহকারী কমিশনা বরাবরে অভিযোদায়েরের পর দীর্ঘ সময় ক্ষেপনের ফলে তিনি বাদী হয়ে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্রেট আদালতে জালজালিয়াতির অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন । ওই মামলা সিআইডি ভোলাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়।
অভিযুক্ত সাহাজাহন মুন্সি জানান, আমাদের নামজারী বাতিল করে ওই জমিতে আসাতে হবে। এর বেশি আমার কোন মন্তব্য নাই।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল মতিন খান বলেন, এঘটনায় একটি মিস কেস দায়ের করা হয়েছে । কাগজ পত্র যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।