Home কৃষি এবছর আর চাল আমদানি করতে হবে না

এবছর আর চাল আমদানি করতে হবে না

43

ডেস্ক রিপোর্ট: কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, একসময় এ দেশে কম মানুষ ছিলো তারপরেও আশ্বিন-কার্তিক মাসে উত্তরবঙ্গে মঙ্গা হতো । ২০০১-০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপির আমলে প্রতিবছর মঙ্গার সময়ে অনেক মানুষ না খেয়ে মারা গেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার মঙ্গাকে দূর করেছে, কাউকে না খেয়ে থাকতে হয় না। তিনি বলেন, এখন মঙ্গার সময় যাচ্ছে। তারপরেও এ বছর চাল আমদানি করতে হয়নি। আমরা আশা করছি এ বছর আর চাল আমদানি করতে হবে না। এখন চালের দাম নিম্নমুখী। ভারত চালের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, এর সমালোচনা চলছে আন্তর্জাতিকভাবে। তারপরেও আমাদের চালের দামটা কম কারণ কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করা গেছে। এখন ধানের উৎপাদন বেড়েছে। বিঘাতে ১০০ দিনের মধ্যে ২৫ মণের বেশি ধান উৎপাদিত হচ্ছে।

সোমবার রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত ‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর: কাজী বদরুদ্দোজার অবদান’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ কৃষি সাংবাদিক ফোরাম (বিএজেএফ) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, কৃষির রূপান্তরে কাজী বদরুদ্দোজা ছিলেন দূরদর্শী। রূপান্তরে তিনি কাজ করেছেন, নেতৃত্ব দিয়েছেন। সব বিজ্ঞানীর এই ক্ষমতা থাকে না। যেটা বদরুদ্দোজার মধ্যে ছিলো। বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর শুরু করেছিলেন কাজী বদরুদ্দোজা। তিনি এ দেশের সনাতন কৃষিকে বিজ্ঞানভিত্তিক করে গড়ে তুলেছিলেন, যা সুফল এখন আমরা ভোগ করছি। তবে এ রূপান্তরের দ্বিতীয় অংশটি এখন বড় চ্যালেঞ্জের। ধান রোপন থেকে শুরু করে মাড়াই পর্যন্ত এখন যান্ত্রীকিকরণের মাধ্যমে কৃষির আধুনিকায়ন ও বাণিজ্যিকিকরণ করতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবেলা করে ভবিষ্যতে খাদ্য নিরাপত্তা টেকসই করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনিস্টিউটের মহাপরিচালক শাহজাহান কবীর, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান, এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান এস এম পারভেজ তমাল, এসিআই এগ্রি বিজনেসের প্রধান ড. ফা হ আনসারী প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএজেএফর সভাপতি ইফতেখার মাহমুদ ও সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক সাহানোয়ার সাইদ শাহীন।
‘বাংলাদেশের কৃষির রূপান্তর’ বিষয়ক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি ব্যবসা ও বিপণন বিভাগের অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম।