Home রাজনীতি একুশ আগস্টের হামলা ছিলো বিএনপির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস–হানিফ

একুশ আগস্টের হামলা ছিলো বিএনপির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস–হানিফ

46

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ এমপি বলেছেন, ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বিচ্ছিন্ন কোনো ঘটনা ছিলো না। ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় ১৫ আগস্ট ও ২১ আগস্ট একইসূত্রে গাথা। নেপথ্যের কারিগররাও একই ছিলো। বিএনপি একুশ আগস্টের হামলায় জড়িত থাকার অজস্র পরমাণ রেখে গেছে। আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূন্য করার এ অপপ্রয়াস ছিলো বিএনপির রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস।

মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে গ্রেনেড হামলায় নিহত প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী বেগম আইভি রহমানের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর হাতে গড়া সংগঠন। অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে এসে আওয়ামী লীগকে নিয়ে নতুন করে পথচলা শুরু করেন। যার কারণে বাংলার মানুষ আজ নতুন করে স্বপ্ন দেখছে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আজ বাস্তবায়নের পথে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ চরম দারিদ্রের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। দেশের এই অগ্রযাত্রা রুখতে বারবার তার উপর হামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২১ আগস্টের হামলা ছিলো সবচেয়ে ভয়াবহ ও নৃশংসতম।

তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা জানতো বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারী যতদিন বেঁচে থাকবে ততদিন এদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব কেউ নষ্ট করতে পারবে না। এর মধ্যে ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা ছিলো ইতিহাসের নিষ্ঠুর ও পৈশাচিক হামলা। পৃথিবীতে এর নজির নেই। বর্বরোচিত এ হামলায় নারী নেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হয়েছেন। আওয়ামী লীগের পাঁচ শতাধিক নেতা-কর্মী এখনো সেই হামলার বিভৎসতার ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছেন।

হামলার পর থেকে বিএনপি ঘটনাকে ভিন্নখাতে নেয়ার চেষ্টা করেছে উল্লেখ করে হানিফ বলেন, বিএনপিকে বলছি জাতির কাছে ক্ষমা চান। কিন্ত এই নৃশংস হামলায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার না করে তারা উল্টো নির্লজ্জ মিথ্যাচার করে বেড়াচ্ছে। হামলার দুই ঘন্টার মধ্যে তারা সব আলামত নষ্ট করেছে। ২১ আগস্টের হামলার আগে হাওয়া ভবনে জঙ্গীদের নিয়ে দফায় দফায় মিটিং করেছে তারেক রহমান। এখন লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে। এতে কোনো লাভ হবে না।

মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, হামলার ১৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে। মামলার তদন্ত হয়েছে। বিচারের রায়ও হয়েছে। ১৯ জনকে ফাঁসি এবং ১৯ জনকে যাবজ্জীবন দেয়া হয়েছে। কিন্ত হামলায় আহত, নিহতের স্বজনরা খুশি নয় কারণ হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক রহমানের সর্ব্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হয়নি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে বেগম খালেদা জিয়া ২১ আগস্টের হামলার দায়ভার কোনোভাবেই এড়াতে পারেন না। আমরা আশা করি এ রায় কার্যকরের মধ্য দিয়ে জাতি কলঙ্ক মুক্ত হবে এবং বাংলাদেশ থেকে হত্যা, ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চিরতরে বন্ধ হবে।

বেগম আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটির সভাপতি এমএ করিমের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব লায়ন মশিউর রহমান সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি এডভোকেট মো. রুহুল আমিন রুহুল এমপি, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু ও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুমায়ুন কবীর হুমায়ুন। অনুষ্টানটির আয়োজন করে বেগম আইভি রহমান মৃত্যুবার্ষিকী পালন কমিটি-২০২১।