ডেস্ক রিেপার্ট: সম্প্রতি যুক্তরাজ্যভিত্তিক এজ অফ এলিয়েনেশন শিরোনামের একটি গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ করা হয়। গবেষণায় বলা হয় ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে যাদের একজন বন্ধুও নেই কিংবা একজনই বন্ধু আছেন এমন মানুষের সংখ্যা গত ১০ বছরে বেড়েছে ৩ গুন। ১০ বছরের মধ্যেও গত ১৫ মাসে একাকিত্বের হার বেড়েছে সবচাইতে বেশি।

গবেষণায় বলা হয়, এক দশক আগেও মানুষের একাকিত্বের হার ছিলো ৭ শতাংশ যা বর্তমানে ২২ শতাংশ হয়েছে। এই দশকে একাকিত্বের হার বৃদ্ধির প্রধান কারণ হিসেবে দেখানো হচ্ছে বিশ্বব্যাপি চলমান লকডাউনকে। প্রায় ১৫ মাসের বেশি সময় ধরে চলমান লকডাউনের কারনে বিশ্বের অধিকাংশ মানুষই ঘরবন্দি অবস্থায় ছিলো। কালেরকন্ঠ

করোনা পরিস্থিতির আগে এই একাকিত্বের কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে প্রযুক্তির প্রসার এবং প্রযুক্তি ব্যবহারে অসচেতনতাকে। এই গবেষণার পরিচালক উইল ট্যানার বলেন, তরুণরা একাকিত্বের মহামারিতে ভুগছেন। একাকিত্বের এই সমস্যার সমাধান না হলে মারাত্মক পরিণতি অপেক্ষা করছে আমাদের জন্য। সমাজকে এক সুতোয় বেঁধে রাখার ক্ষমতাই হারিয়ে ফেলব আমরা।

গবেষণায় আরও দেখা যায়, ২০ বছর আগে ৩৫ বছরের কম বয়সীদের মধ্যে প্রতিবেশীদের সঙ্গে যোগাযোগ ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রবণতা কম ছিল। ফলে তখনও তাদের মধ্যে আস্থার ঘাটতি ছিল। যারা ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬ সালের মধ্যে জন্মেছেন এবং যারা ১৯৯৭ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে জন্মেছেন, তাদের বেশির ভাগই ধর্মীয় বা দলবদ্ধ কার্যক্রমে অনীহা প্রকাশ করেন।

গবেষণা প্রতিবেদনের লেখক লর্ড জেমস ও’ শঘনেসি বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে সামাজিক বন্ধনে ক্ষয় শুধু ভৌগোলিক কারণে নয়, এটি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে চলে আসছে। এটি ভীষণ উদ্বেগজনক। সামাজিক বন্ধনের দৃঢ়তা গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার ভিত্তি, মানুষের সুস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধির উৎস। দেখা যাচ্ছে, বয়স যত কম, অন্যের প্রতি অনাস্থার প্রবণতা তত বেশি। অন্যদিকে ৩৫ বছরের বেশি বয়সীদের মধ্যে আস্থার প্রবণতা বেশি।-আমাদের সময়.কম