Home রাজনীতি এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে: মির্জা আব্বাস

এই সরকারকে ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে: মির্জা আব্বাস

30

স্টাফ রিপোটার: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, এই সরকার ১৫ বছর যাবত ক্ষমতায় বসে আছে। এরা কথা বললে শোনে না। এদের ধাক্কা দিয়ে সরাতে হবে। ১৫ বছরে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে, সরকারের পরিবর্তন হয় না।

তিনি বলেন, আমাদের আর কোনো ভয় নাই, দেশের মানুষ গুম, হত্যাকে ভয় পায় না। মানুষ মরতে ভয় পায় না।

শুক্রবার বিকালে রাজধানীর গুলশান ১-এ গণ মিছিলপূর্বক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ সরকার পতনের একদফা দাবিতে রাজধানীতে এ গণমিছিল আয়োজন করা হয়।

মির্জা আব্বাস বলেন, আজকে শুনলাম কেউ কেউ নেপালে গেছে। ওখানে নাকি কার কাছ থেকে পানি পড়া আনতে। এই পানি পড়া দিয়ে কাজ হবে না। এই সরকারকে সরে যেতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের গ্রেফতার করে, মামলা দিয়ে হয়রানী করে আমাদের আন্দোলন থেকে দুরে রাখা যাবে না।

বেগম খালেদা জিয়াকে দুর্বার আন্দোলনের মাধ্যমে মুক্ত করা হবে বলেও ঘোষণা দেন মির্জা আব্বাস।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান বলেন, আজকে আমরা সমবেত হয়েছি সরকারকে লাল পতাকা দেখানোর জন্য। লাল পতাকা দেখালে মাঠ ছেড়ে চলে যেতে হয়।

তিনি বলেন, আজকে ১২ কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে। এই সরকারকে বিদায় নিতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে অন্তর্বতী কালিন সরকার প্রতিষ্ঠা করবো। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবো। নতুন নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে এই সরকারকে বিদায় করে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করবো।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, বিনা ভোটের সরকার অত্যাচারে, নির্যাতনের দেশের মানুষ অতিষ্ট।

তিনি বলেন, আজকের এই সমাবেশ প্রমাণ করে আমাদের যাদের খুন করা হয়েছে আমরা তাদের রক্তের প্রতিশোধ নিতে চাই।

তিনি আরও বলেন, আমরা এই সরকারকে সরিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরে আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে আরও অংশ নেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালী, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ রাশেদুজ্জামান মিল্লাত, যুগ্ম-সচিব মজিবুর রহমান সারোয়ার প্রমুখ।

গণ মিছিল পূর্ব সংক্ষিপ্ত সমাবেশের সঞ্চালনা করেন ঢাকা মহানগর বিএনপি উত্তরে সদস্য সচিব আমিনুল হক।

গণমিছিলে যুবদলের মামুন হাসান, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শরীফ উদ্দিন জুয়েলসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।

ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত গণমিছিল গুলশান ১ নম্বর থেকে তিতুমীর কলেজের সমানে দিয়ে মহাখালী বাস টার্মিনালে গিয়ে শেষ হবে।