Home জাতীয় উজিরপুরে ভূয়া শিক্ষার্থী সাজিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক

উজিরপুরে ভূয়া শিক্ষার্থী সাজিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক

25

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে ১১নং হারতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সীমাহীন দূর্নীতিতে ঘেরা। শিক্ষার্থী না থাকলেও প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষ তার নিজস্ব ফোন নম্বর দিয়ে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করে আত্মসাত করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় ও সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় সনজিব চন্দ্র শীলের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ক্লাসের ছাত্রী জয়িতা শীলের নাম ব্যবহার করে প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে আসা ৩ বার উপবৃত্তির ১৯শত টাকা উত্তোলন করে নিজেই আত্মসাত করেছেন। এদিকে ক্লাসে দেখা যায় জয়িতা নামের কোন শিক্ষার্থী নেই। অন্যান্য শিক্ষক বা শিক্ষর্থীরা জয়িতা নামের কোন ছাত্রীকে কখনো কেহ কোনদিন দেখেননি বলে জানান। এ নিয়ে এলাকায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। ইতিপূর্বেও ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অন্যান্য শিক্ষার্থীর উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন দূর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ করেছে অত্র প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা। অভিযোগটি বর্তমানে বিভাগীয় উপ-পরিচালকের টেবিলে জমা রয়েছে। এরই মধ্যে আবারো ভ‚য়া শিক্ষার্থী সাজিয়ে উপবৃত্তির টাকা আত্মসাত করেছেন তিনি। স্থানীয় একাধিক ব্যাক্তি আরো অভিযোগ করে বলেন স্কুল খোলার পরে গত বুধবার মহামারী করোনা মোকাবেলায় সরকারি নির্দেশ মোতাবেক সকল শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে সাবানসহ জীবানু নাশক সকল উপকরণ ব্যবহার করা বাধ্যতা মূলক করা হয়েছে। তা অমান্য করে প্রধান শিক্ষক জীবানু নাশক খালি বোতলের ছবি মোবাইল ফোনে ধারণ করে উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহম্মেদের মোবাইল ফোনে পাঠান। এ নিয়েও প্রধান শিক্ষক এলাকায় তোপের মুখে পড়েছিল। এ ব্যাপারে বিভাগীয় উপ-পরিচালক জালাল উদ্দিন মোহাম্মদ জানান, কোন অন্যায়কারীকে ছাড় দেয়া হবেনা। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বরিশাল জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আঃ লতিফ মজুমদার জানান কোন শিক্ষার্থীর নাম দিয়ে অন্য কারো মোবাইল নম্বর দেয়ার কোন সুযোগ নেই। দ্রুত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে। উপজেলা শিক্ষা অফিসার তাছলিমা বেগম জানান বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে বিষয়টি দ্রুত তদন্ত করা হবে। সহকারী শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন আহম্মেদ জানান প্রধান শিক্ষক তো দুরের কথা কোন শিক্ষার্থীদের পরিবর্তে অন্য কারো নম্বর দেয়া আইন সম্মত নয়। স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অমল মল্লিক জানান, প্রায়ই ওই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে থাকি। এ আর নতুন কি ? একাধিক অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত করার পরেও তদন্ত করার পরেও কোন লাভ হয় না। এমনকি তার বিরুদ্ধে কোন আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হয় নাই। আরো অভিযোগ পাওয়া যায়, প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহেল অভিযোগ হলে তার কপি তিনি আগেই পেয়ে যান এবং বিভিন্ন ফাঁক ফোকর থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক বঙ্কিম চন্দ্র ঘোষ জানান জয়িতা আমার ভাগ্নি হয়। তারা বরিশাল থাকে। তারা গরীব অসহায় তাই তাদের মোবাইল ফোন না থাকায় আমার মোবাইল নম্বর দিয়ে উপবৃত্তির টাকা উত্তোলন করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ওই প্রধান শিক্ষকের অপসারণের দাবী জানিয়ে শিক্ষার্থী, অভিবাবক ও এলাকাবাসী প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।