Home জাতীয় উজিরপুরে বিজয় দিবসের অনুস্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের হট্টগোল, অবশেষে সমাধান, বিএনপির শোডাউন

উজিরপুরে বিজয় দিবসের অনুস্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের হট্টগোল, অবশেষে সমাধান, বিএনপির শোডাউন

52

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুরে মুক্তিযাদ্ধাদের হট্টগোলের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তী, মুজিববর্ষ, ৫০তম মহান বিজয় দিবস পালিত হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করেছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মডেল থানায় ৫০ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের সূচনা হয়। সকাল ৮ টায় উপজেলা পরিষদের সামনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান বরিশাল-২ আসনের সংসদ সদস্য মো: শাহে আলম। পরে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ, উপজেলা আওয়ামীলীগ, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিল, উপজেলা প্রেসক্লাব, জাতীয় পার্টি, ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন সংগঠন। তবে বিএনপি ব্যাপক শোডাউনের মাধ্যমে উপজেলা চত্বরে নবম সেক্টর কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর এম এ জলিলের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন । সকাল সাড়ে ০৮ টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, প্যারেড, কুজকাওয়াজ উদ্ভোধন শেষে বক্তৃতা করেন উপজেলা চেয়ারম্যান আঃ মজিদ সিকদার বাচ্চু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস, মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ। এসময় সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল ওয়াদুদ সরদারকে জাতীয় পতাকা উত্তোলনে না ডাকায় মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষিপ্ত হয়ে অনুষ্ঠান বর্জন করে মাঠ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার চেস্টা করলে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, পৌর মেয়রের হস্থক্ষেপে পুনরায় অনুষ্ঠানে যোগদান করেন। অবশ্য পরে পতাকা উত্তোলনে তাকে নেয়া হয়। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার ভূমি জয়দেব চক্রবর্তী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এস এম জামাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোঃ গিয়াস উদ্দিন বেপারি, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও সংসদ সদস্য ওয়াদুদ সরদার, ডেপুটি কমান্ডার হারুন অর রশিদ সহ বিভিন্ন কর্মকর্তা, স্কুল কলেজের শিক্ষক,রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ। প্যারেড,কুচকাওয়াজ ও শরীরচর্চা প্রদর্শনে অংশ গ্রহন করেন পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, আনসার ভিডিপি, বাংলাদেশ স্কাউট এবং স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। বিকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা দেওয়া হয় এবং সারাদেশের ন্যায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সাথে শপথবাক্য পাঠান করেন প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। এরপর ক্রীড়া প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। রাতে সাংস্কৃতিক অনুস্ঠান পরিবেশিত হয়। মুক্তিযোদ্ধাদের হট্রোগোলের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণতি বিশ্বাস জানান, সরকারী নিয়মের বাহিরে কিছুই করা যায়না। কেহ ভুল বুঝিয়ে মুক্তিযোদ্ধদের ক্ষেপিয়ে তুলেছিল। পরবর্তীতে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ সিকদার বাচ্চু জানান, একটি মহল মুক্তিযোদ্ধাদের ভুল বুঝিয়ে জাতীয় প্রগ্রামে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চেয়েছিল। পরিশেষে মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সংবর্ধনায় অত্যান্ত সুন্দর ভাবে উপস্থিত থেকে অনুস্ঠানকে প্রানবন্ত করে তুলেন।