Home জাতীয় উজিরপুরে এক প্রতিবন্ধী চিত্রশিল্পী তামান্নার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রত্যাশা

উজিরপুরে এক প্রতিবন্ধী চিত্রশিল্পী তামান্নার প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রত্যাশা

82

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ স্বদিচ্ছা আর চেষ্টাই বয়ে আনে সাফল্য। সহযোগিতা পেলে হতে পারে বিশ্বেরবরেণ্য। অনেক ক্ষেত্রে ইচ্ছা আর চেষ্টা থাকলেও অ-সহযোগিতা কারণে অর্থাভাবে বিকশিত মেধা বিক্ষিপ্ত হয়ে যায়। এমনই এক বাক ও শ্রবণহীন প্রতিবন্ধী তামান্না জাহান। যার রংতুলিতে রয়েছে চিত্রাকর্ষক দৃশ্য। রয়েছে সূচিকর্মেরও বেশ অভিজ্ঞতা। সহযোগীতার সুযোগ পেলে প্রতিবন্ধি তামান্না হইতে পারে বাংলার এক নক্ষত্র। সাড়া জাগাতে বিশ্বে। বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলাধীন গুঠিয়া-শংকরপুর গ্রামের হতদরিদ্র ওবায়দুল কবির ও আফরোজা বেগমের একমাত্র সন্তান প্রতিবন্ধী চিত্রশিল্পী তামান্না জাহান(২০)। ২০০১ সালে অন্যান্য শিশুদের মত সর্বাঙ্গ সুন্দর নিয়ে তামান্নার জন্ম। ৪ বছর বয়সে কঠিন এক রোগে আক্রান্ত হয়ে বাক ও শ্রবণশক্তি হারিয়ে তামান্নার নাম আসে প্রতিবন্ধীর তালিকায়। একমাত্র সন্তান তামান্নাকে নিয়ে মা-বাবার ছিলো অনেক সপ্ন,ছিলো বুক ভরা আশা। নির্মম পরিহাস। নিঃসম্বল পরিবারটির একমাত্র সন্তান ভাল হওয়ার আশা নিয়ে চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন চিকিৎসালয়ে গিয়ে ভিটে-মাটি হারিয়েও সন্তানের মুখে মা-বা, ডাক শুনতে পারেনি। পিতা কর্মক্ষমতা হারিয়ে রোগশয্যায় শায়িত। তামান্না ছোটবেলা থেকেই ছিলো শান্ত স্বভাবের, অন্য শিশুদের সাথে সঙ্গ দিতেন না, চলতেন আপন মনে। ছিলো চিত্রকর্মে আগ্রহ। শিশু বয়স থেকেই কাঠির টুকরো দিয়ে মাটিতে বসে মাটির ওপরে খেয়াল খুশি মত আকতেন এটা-সেটা। কোন চারুকলা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা গ্রহন ছারাই তামান্নার তুলি বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর ছবি একেই চলছে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা, দেশের ভবিষ্যৎ- জয়,পুতুল এদের বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন ছবি এযেন অবিকল প্রতিচিত্র। উপকরণ বিহীন মনোমুগ্ধকর ছবি একে প্রদর্শন করে প্রসংসায় আনন্দ উল্লাসে নিজেকে বিলিয়েদেন চিত্রাঙ্কনে। তামান্না জানে না তার ভবিষ্যৎ কোথায়। তামান্নার সামান্য প্রতিবন্ধী ভাতা দিয়ে চলে তাদের সংসার। পিতা-মাতার মৃত্যুর পর প্রতিবন্ধী সন্তান যেন সমাজের বোঝা না হয় এজন্য তামান্নার অবিজ্ঞতা নিয়ে মা আফরোজা বেগম- সরকারি, আধা সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ও বিত্তবানদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরেও তামান্নার ভবিষ্যৎ খুঁজে পায় নাই। এবিষয় প্রতিবন্ধী তামান্না তার ভাষায় ইসার-ইঙ্গিতে এই প্রতিবেদককে বলেন- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবন্ধীদের অনেক ভালবাসেন, তাদের জন্য প্রতিষ্ঠান করেছেন,সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছেন। আমার প্রত্যাশা শেখ হাসিনা যদি তার আর্শিবাদের হাত আমাকে র্স্প করে তবে আমি একজন চিত্রশিল্পী হয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার সম্মান ও গৌরব বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবো। আমরা অবাক হলাম নিঃসম্বল পরিবারের একমাত্র প্রতিবন্ধী সন্তান তামান্না নিজের ও পরিবারের কথা না ভেবে- ভাবলেন দেশের গৌরবের কথা। অসহায় পিতা-মাতা তামান্নার ভবিষ্যতের চিন্তা করে প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক, সমাজিক, প্রশাসন, প্রশাসক ও সমাজের বিত্তবানদের সুদৃষ্টি কামনা করছেন।