Home জাতীয় উজিরপুরের কালিহাতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

উজিরপুরের কালিহাতা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

46

উজিরপুর প্রতিনিধিঃ বরিশালের উজিরপুর উপজেলার কালিহাতা মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুখতার হুসাইনের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মোবাইল একাউন্ট আটকে রেখে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুর্ণীতি ও অনিয়মের গোমর ফাঁস হওয়ায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। এদিকে অভিযুক্ত অধ্যক্ষ’র বিরুদ্ধে বিচারের দাবীতে ফুঁেস উঠেছে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। উপজেলার বামরাইল ইউনিয়নের কালিহাতা গ্রামের জাকির সেরনিয়াবাদের মেয়ে ওই মাদ্রাসায় পরুয়া ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী তানিয়া আক্তার এবং আমির হাওলাদারের মেয়ে আইরিন আক্তার, শহিদুল তালুকদারের মেয়ে তামান্না আক্তার ৯ম শ্রেনীর ছাত্রী,আমিনুল সরদারের মেয়ে ৮ম শ্রেনী থেকে ৯ম শ্রেনীতে উর্ত্তীন আমেনা আক্তার, আলি আহম্মেদ ফকিরের মেয়ে একই ক্লাসের ছাত্রী আসিফা আক্তার,অভিভাবক ফারুক মোল্লার নাতনী রিয়া আক্তার,নজরুল মৃধার মেয়ে সাদিয়া আক্তার,মিজানুর রহমান সরদারের মেয়ে লিজা আক্তার ,টিটু মৃধার মেয়ে বৈশাখী আক্তার, নুর শরীফের মেয়ে দাখিল পরিক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তার, শামিম ঘরামীর মেয়ে ৮ম শ্রেনী থেকে ৯ম শ্রেনীতে উর্ত্তীন প্রিতি আক্তার সাদিয়া,ছত্তার ঘরামীর মেয়ে ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী রাবেয়া আক্তারসহ অর্ধ শতাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা সাংবাদিকদের অভিযোগ করে বলেন তাদের বিকাশ একাউন্ট সিমকার্ড ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুখতার হুসাইন নিজের কাছে আটকে রেখে ১ বছর ধরে উপবৃত্তির ৩ কিস্তির টাকায় ভাগ বসান। তারা আরো বলেন প্রতি কিস্তিতে যত টাকা একাউন্টে জমা হয় তার ৩ ভাগের এক ভাগ অধ্যক্ষ হাতে কেটে রাখেন। এরমধ্যে দাখিল পরীক্ষার্থী বৃষ্টি আক্তার জানান তার উপবৃত্তির ৬ হাজার টাকা ফরম পুরন বাবদ কেটে নিয়েছে। সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকরা শিক্ষার্থীদের বাড়ীতে বাড়ীতে গেলে বিষয়টি জানতে পেরে সুচতুর অধ্যক্ষ ভুক্তভোগীদের ম্যানেজ মিশনে নেমেছে। এ ব্যপারে ভুক্তভোগী অভিভাবক ফারুক হোসেন মোল্লা জানান ছাত্র-ছাত্রীরা উপবৃত্তির টাকা পাওয়ার শুরু থেকেই অধ্যক্ষ মুখতার হুসাইন সকল শিক্ষার্থীদের বিকাশ একাউন্টের সিমকার্ড আটক করে লক্ষ লক্ষ হাতিয়ে নিচ্ছে। পরিক্ষার ফরম পূরনে অতিরিক্ত ফি ৫/৬ হাজার টাকা আদায় করে নিজের আখের গুছিয়ে নিচ্ছেন এবং দূর্ণীতি ও অনিয়মের চরমে পৌছে গেছেন তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রণতী বিশ্বাস জানান বিষয়টি দ্রত তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে নির্দেশ দেয়া হবে। মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এবি.এম জাহিদুল ইসলাম জানান ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ পেলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। অভিযুক্ত অধ্যক্ষ মুহাম্মদ মুখতার হুসাইন বিষয়টি এড়িয়ে যান। ভূক্তভোগী শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা তাদের আত্মসাৎকৃত টাকা ফেরত এবং ওই দূর্ণীতিবাজ অধ্যক্ষ’র দ্রুত অপসারনের দাবী জানিয়ে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেন।