বিশেষ প্রতিনিধি: উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম ৭ ফেব্রুয়ারী উজবেকিস্তানের ঔষধ শিল্প উন্নয়ন এজেন্সীর রিচালক আবদুল্লাহ আজিজোখ এর সাথে তাঁর কার্যালয়েবৈঠক করেন।

ঔষধ শিল্পে বাংলাদেশের সাফল্যের উপর আলোকপাক করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে, দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ মেটানো হয় স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফার্মাসিটিক্যালস সামগ্রী দ্বারা, যা স্বাস্থ্য খাতে একটি বড় অর্জন বলে বিবেচিত ও স্বীকৃত। বাংলাদেশের ঔষধের গুনগত মান ও কমপিটেটিভ ম্যুল্যের কারণে বিশ্ববাজারে এর চাহিদা ক্রমাগতভাবে বাড়ছে উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত বলেন যে উজবেকিস্তান আরো বেশী পরিসরে বাংলাদেশের ঔষধ আমদানী করতে, পারে যা উজবেকিস্তানের স্বাস্থ্য খাতে অর্থবহ অবদান রাখার পাশাপাশি বাংলাদেশ-উজবেকিস্তান অর্থনৈতিক সম্পর্কে এক নতুন মাত্রা ও গতি যোগ করবে। তিনি দু’দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের মধ্যে ঔষধ শিল্পে সহযোগিতার বিষয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। দু’দেশের মধ্যে প্রতিনিধি পর্যায়ে সফর আয়োজন ঔষধ শিল্প খাতে বানিজ্যিক ও বিনিয়োগ যোগাযোগকে আরো সহজ ও সাবলীল করবে বলে রাষ্ট্রদূত যোগ করেন।

উজবেকিস্তানের ঔষধ শিল্প উন্নয়নএজেন্সীরপ্রধান উজবেকিস্তানের ঔষধ উৎপাদন, চাহিদা ও বিপনন সম্পর্কে রাষ্ট্রদূতকে ধারনা দেন। উজবেকিস্তান বহুলাংশে আমদানীকৃত ঔষধ এর উপর নির্ভরশীল হওয়ায় এ দেশে বাংলাদেশের রপ্তানির অপার সুযোগ ও সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পের অগ্রগতিতে তিনি সন্তোষ প্রকাশ করে বাংলাদেশ থেকে ঔষধ আমদানীর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করেন। ফার্মাসিউটিক্যাল খাতে বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য উজবেকিস্তান সরকার প্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কথা উল্লেখ করে এ খাতে যেীথ বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের বিষয়ে দু’দেশের বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা যেতে পারে বলে তিনি মতামত প্রকাশ করেন।

ঔষধ শিল্পখাতে দু’দেশের মধ্যেকার সহযোগিতা ভবিষ্যতে আরো গভীর ও সম্প্রসারিত হবে এ আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি হয়।