Home জাতীয় ইবিতে থামছেই না চুরির ঘটনা : এবার ছাত্রী হলে চুরি

ইবিতে থামছেই না চুরির ঘটনা : এবার ছাত্রী হলে চুরি

56

আতিক এম রহমান, ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) চুরির ঘটনা যেন থামছেই না। বিগত কয়েক বছরে ছোট-বড় অন্তত দশবার চুরির ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কয়েকবার চোর ধরা পড়লেও উল্লেখ্যযোগ্য কোন শাস্তি না হওয়ার বন্ধ এই আশঙ্কা আরো বেড়েছে। এতে নিজেদের শিক্ষাসামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র ক্যাম্পাসে রেখে চরম উদ্বেগে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির কয়েক হাজার শিক্ষার্থী। সম্প্রতি ছাত্রীদের খালেদা জিয়া হলের গ্রিল কেটে ও তালা ভেঙে অন্তত ৯টি কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

দিনক্ষণ জানা না গেলেও কনস্ট্রাকশন (রিপেয়ারিং) শ্রমিকদের মাধ্যমে শনিবার চুরি যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে। জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হল বন্ধ থাকায় হলের রিপেয়ারিং কাজ চলছিলো। ফলে হলের চাবি ছিল ঠিকাদারদের কাছে। অন্যান্য দিনের মতো শ্রমিকরা কাজে আসলে হলের নিচ তলার বারান্দার গ্রিল ভাঙা দেখতে পান।

সূত্রে মতে, ক্যাম্পাসের পশ্চিম কিনারে অবস্থিত খালেদা জিয়া হল। হলটির পেছনে বিস্তৃর্ণ ফসলের মাঠ। তবে নামমাত্র একটি দেয়ার ছাড়া তেমন কোন নিরাপত্তা প্রাচীর নেই। এই হলটিরই দক্ষিণ (পুরাতন) ব্লকের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ তলার ৯টি কক্ষ থেকে জিনিসপত্র চুরি গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন হল কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া হলটির ডাইনিং থেকেও কয়েকটি বেসিন ট্যাপকল চুরি হয়েছে।
তবে, ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় কক্ষগুলোর ভেতর থেকে কি কি জিনিসপত্র চুরি হয়েছে কিংবা আর্থিক ক্ষতির পরিমাণই বা কতটা; সেসব বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য এখনো কিছু জানা যায়নি।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী নিরাপত্তাকর্মীদের ভাষ্যমতে, প্রাচীর টপকে গ্রিল ভেঙে হলের ডাইনিংয়ে ঢুকে থাকতে পারে চোর। পরে ডাইনিং থেকে দ্বিতীয়, তৃতীয় এবং চতুর্থ তলার কক্ষগুলোতে তালা ভেঙে কক্ষে প্রবেশ করা হয়েছে। কক্ষের সামনে তালাগুলো পড়ে থাকতে দেখা যায়। কক্ষের ভেতরে সবকিছু এলোমেলো অবস্থায় পড়ে রয়েছে বলেও জানান তারা।

হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. রেবা মন্ডল বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, এটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা। ঘটনাস্থল পর্যবেক্ষণ করে দেখব।’

প্রসঙ্গত, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে চুরির ঘটনা স্বাভাবিকতায় রূপ নিয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য কারণে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের উল্লেখ্যযোগ্য দায়িত্বশীলতা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। বিগত কয়েক মাসে সাদ্দাম হোসেন হল, শহীদ জিয়াউর রহমান হল, শেখ রাসেল হলে একাধিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। এমনকি দিনে দুপুরে ক্যাম্পাস থেকে ভ্যান চুরির ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া নির্মাণাধীন রবীন্দ্র-নজরুল কলা ভবনে দুই ভ্যান টাইলস ও আট কার্টন ক্যাবল চুরির ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনার কোনো কোনোটিতে হাতেনাতে আটকও হলেও থানায় নিয়ে চোরকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে চোরেরা আস্কারা পাচ্ছেন।

এদিকে পুনঃপুন এমন চুরির ঘটনায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি একই ঘটনার পুণরাবৃত্তিতে এবং ইতোপূর্বে চোর ধরা পড়ার পরও উল্লেখ্যযোগ্য শাস্তি প্রদান না করায় বিশ্ববিদ্যালয় সংশ্লিষ্ট কারো ইন্ধন থাকতে বলেও মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা।