Home জাতীয় আশুগঞ্জে শহীদ পরিবারের জায়গা দখলেরও অভিযোগ

আশুগঞ্জে শহীদ পরিবারের জায়গা দখলেরও অভিযোগ

55

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের অধিগ্রহন করা জায়গা প্রভাবশালীরা দখল করে বহুতল বিশিষ্ট ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় প্রভাবশালী মহলটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জায়গাও তাদের দখলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে জায়গাটি বেদখল অবস্থা থেকে রক্ষা ও স্থিতাবস্থা বজায় রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন।
দখলকৃত জায়গা উদ্ধারের জন্য ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকেও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে প্রভাবশালী মহলটি নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আশুগঞ্জের বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী গত ২৯ আগস্ট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে দেয়া অভিযোগপত্রে বলেন, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ১১.৩৪ একর ভূমির মধ্যে চারলেন সড়ক প্রকল্পের জন্য সমঝোতার ভিত্তিতে ২.৭৩ একর জায়গা অধিগ্রহন করা হয়। সিএস ও এসএ খতিয়ান অনুযায়ি ভূমির পরিমাণ সঠিক থাকলেও বিএস খতিয়ানে চার শতক ভূমি অন্তর্ভূক্ত হয়নি। কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ওই জায়গায় নাহার গার্ডেন মালিক পক্ষ স্থাপনা নির্মাণের কাজ হাতে দিয়েছে। এতে সরকারি ভূমি বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
অপরদিকে আশুগঞ্জ উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত এলাই বকসের ছেলে জসিম উদ্দিন এবং আব্দুল খালেক এবং মৃত আব্দুল আলীম ওরফে আলেক এর ছেলে রুবেল মিয়া তাদের জায়গা দখল চেষ্টার অভিযোগ এনে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। বাদী জসিম উদ্দিন ও আব্দুল খালেকের ভাই আবুল হোসেন ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হন। মামলার মূল বিবাদীরা হলেন সোনারামপুরের মৃত আজাদ মিয়ার ছেলে রিপন মিয়া ও রুবেল মিয়া, মৃত আজাদ মিয়ার স্ত্রী নাহার বেগম, যাত্রাপুরের মৃত সামছুল হকের ছেলে শামীম মিয়া, সোহেল মিয়া ও বড়তল্লার আ. আজিজের ছেলে কুতুবুর রহমান ।
মামলায় উল্লেখ করা হয়, শহীদ আবুল হোসেনের পিতা এলাই বকস (মৃত ফজর আলী ফকিরের ছেলে) সোনারামপুর মৌজার ৩০৬ দাগের ২৮ শতক জমি কিনেন ১৯৪৯ সালের ২৪ ডিসেম্ব। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড চার শতক অধিগ্রহন করে ও এক শতক তিনি বিক্রি করেন দেন। তবে এলাই বক্সের বাকি ২৩ শতকের মধ্যে ১৬ শতক বিএস খতিয়ানভুক্ত হয়। একই এলাকার আজাদ মিয়া ১৯৮৭ সালের ১৪ জানুয়ারি উল্লেখিত দাগের ৪২ শতক জমি কিনেন। পরবর্তীতে ওই জমির ২৫ শতাংশ বিক্রি করলেও বিএস খতিয়ানে আজাদ মিয়ার নামে ৬০ শতাংশ ভূমি লিপিবদ্ধ হয়।
আমমোক্তার নিয়োগ হওয়া আশুগঞ্জ সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ সালাহ উদ্দিন বলেন, নিরীহদের জায়গা দখলের পায়তারা হচ্ছে বলে আমি মামলাটি পরিচালনার দায়িত্ব নিয়েছি। মামলার বাদি উপজেলার সোনারামপুর গ্রামের মৃত এলাই বকসের ছেলে ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মোঃ আবুল হোসেনের ছোট ভাই আবদুল খালেক বলেন, প্রতিপক্ষ রিপন মিয়া গং আমাদের জায়গা জোরপূর্বক দখল করে নিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড আশুগঞ্জের বিক্রয় ও বিতরন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, জায়গাটি আমাদের অধিগ্রহনকৃত জায়গা। আমাদের জায়গা দখল হয়ে যাওয়ায় দখলমুক্ত করতে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। মামলার বিবাদী কামরুজ্জামান রিপন বলেন, আমি কেন অন্যের জায়গা দখল করতে যাবো।