Home রাজনীতি হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের আহবান ফখরুলের

হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের আহবান ফখরুলের

50

স্টাফ রিপোটার: হরতাল কর্মসূচি ঘোষণার আগে নেতাকর্মীদের রাজপথ দখলের কথা বলেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন। ভোলায় পুলিশের গুলিতে স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা আব্দুর রহিম নিহত হওয়ার প্রতিবাদে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি যৌথভাবে এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে উপস্থিত নেতা-কর্মীরা হরতাল, অসহযোগ আন্দোলনের কর্মসূচি দাবি করলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, হরতালের আগে রাস্তা দখল করতে হবে। দখলকারী সরকারকে ক্ষমতা থেকে সরাতে হবে জনগণের সরকার গঠন করতে হবে। আগামী পরশুদিন থেকে বিএনপির অঙ্গ সহযোগী সংগঠনকসমূহ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে বলেও জানান তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ফিলিস্তিনে যেমন মায়ের বুক খালি হলে মা বুক চাপড়ায়, সংসদ ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের চিত্র এমন। গতকাল যখন আমি রফিকের নিথর দেহ দেখলাম তার মা বুক চাপড়াচ্ছে। প্যালেস্টাইনের মায়েরাও এমন করে।

বিএনপির মহাসচিব বলেন, এই সরকারের হাতে হারিকেন দেওয়ার সময় এসে গেছে। শ্রীলংকার রাজা পাকসে পালিয়ে গেছে। প্রধানমন্ত্রী পালাতে পারেননি। পৃথিবীর সব স্বৈরাচারীদের এমন পরিণতি হয়। মালদ্বীপ বসে আছেন।স্বৈরাচার পালানোর চেষ্টা করে কিন্তু জনগণ পালাতে দেয় না।

দলীয় নেতাকর্মীদের গর্জে ওঠার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, সকলকে গর্জে উঠতে হবে, রাজপথ দখলে নিতে হবে। এই সরকারকে আর সময় দেওয়া যাবে না। এখন একটাই দফা একটাই দাবি এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।

স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, শ্রীলংকার মতন মেগা প্রকল্পে মেগা ঋণ নিয়ে মেগা দুর্নীতি করছে। আজকে যে পরিমাণ ডলার লাগে আগামী দুই বছর পর এর তিনগুণ ডলার লাগবে। এভাবে নতুন প্রজন্মের বড় ক্ষতি করেছে সরকার। আজকে বাংলাদেশের অর্থনীতির শ্রীলংকার চেয়েও খারাপ অবস্থায় চলে গেছে। শ্রীলংকার দিকে তাকান শ্রীলঙ্কায় কি শুরু হয়েছিল।

ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে এবং উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব যথাক্রমে আমিনুল ইসলাম এবং রফিকুল আলম মজনুর সঞ্চালনায় সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর,স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, যুবদলের সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম নীরব, বর্তমান সভাপতি সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন শ্যামল, ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল প্রমুখ বক্তব্য দেন।