ডা. আহসান হাবীব রুবেল: ত্বকের বিভিন্ন রকমের এলার্জির মধ্যে আর্টিকেরিয়া বা আমবাত সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। আমবাত বা আর্টিকেরিয়া শরীরে চাকা চাকা হয়ে লাল হয় ও ফুলে উঠে এবং ভীষন চুলকানি থাকে। অর্থাৎ গায়ে বিছুটি লাগিলে যে করম চাকা হইয়া ফুলিয়া উঠে আমবাত শরীরে এই ভাবে দেখা যায়।কারো কারো গলা ও বুকের মধ্যে প্রকাশ পায় এবং শ্বাসকষ্ঠ অনুভব হয় ।
একিউট আর্টিকেরিয়াঃ রোগীকে হঠাৎ আক্রমণ করে কিছুক্ষণ শরীরে চাকা , ফুলা ও চুলকায় তার পর খুব দ্রুত মিলিয়া যায়।
ক্রনিক আর্কিকেরিয়াঃ মাসের পর মাস এই সমস্যা চলতে থাকে । তাদের শরীরে চাকা , ফুলা ও চুলকানি হয়ে থাকে । অধিকাংশ তেমন কারন জানা যায় না।
কারণঃ হিম ও ঠান্ডা লাগা, ঘর্ম্মাক্ত ও উত্তপ্ত শরীরে সহসা ঠান্ডা লাগা, আহারে অনিয়ম যেমন, চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ, বেগুন , কচু, পুইশাক প্রভৃতি কারনে এই আমবাত বা আর্টিকেরিয়া হয়ে থাকে।
আমবাতের বা আর্টিকেরিয়ার প্রধান কয়েকটি হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ঃ একোনাইট, এপিস মেলিফিকা, আর্সেনিকাম এল্বা, ডাল্কামারা, রাসটক্স, সালফার, ক্যালকেরিয়া কার্ব্ব, বেলেডোনা , আর্টিকা ইউরেন্স, রিউমেক্স,ইত্যাদি ।
এপিস মেলিফিকাঃ জ্বালা ও হুলবিদ্ধ যন্ত্রনাসহ লালবর্ণ উচু চাকা চাকা আমবাত। হঠাৎ সমস্ত শরীরে হুলবিদ্ধৎ বেদনা সহ হাতের তালু পায়ের তালু, বাহ মস্তক এবং গ্রীবায় সাদা এবং লাল দাগ সমূহের উৎপত্তি । সুনিদ্রার পর হ্রাস। জরায়ু হইতে শ্লেম্মাক্ষরণ। গরমে বৃদ্ধি, ঠান্ডা প্রয়োগে হ্রাস।
আর্সেনিক এল্বাঃ অত্যন্ত জালাযুক্ত আমবাত। গরম প্রয়োগে চুলকানি উত্তেজনা। কন্ডুরন্যায় ইরাপসন।মুখমন্ডল এবং গ্রীবা উজ্জল লাল বর্ণ আমবাত।
ডাল্কামারাঃ ঠান্ডা লাগিয়া আমবাতের উৎপত্তি । সমস্ত শরীর ব্যাপি পীড়া,অথচ জ¦র থাকে না। ঋতুস্রবের মধ্যেবর্তী সময়ে আমবাত।বাহু ও উরুতে লালবর্ণ চাকা, চাকা, উহাতে ঘর্ষন করিলে হুল বিদ্ধৎ বেদনা , কন্ডুয়ন এবং জ্বালা।
রাসটক্সঃ জলে ভিজিয়া আমবাতে উৎপত্তি অথবা বাতরোগ ভোগ কালীন পীড়া।চর্ম ,ফুলা ও রক্তবর্ণ। জ¦র ও পিপাসা। চুল সংযুক্ত স্থানের এবং সন্ধিস্থানের চুলকানির অধিক্য। ঠান্ডা বাতাস এবং বিশ্রামে বৃদ্ধি। রেজিষ্টার্ড হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের পরামর্শে নিয়ে ঔষধ সেবন করবেন ।