Home জাতীয় আনন্দ-উম্মাদনায় কুয়াকাটার সৈকত উৎসব মুখর

আনন্দ-উম্মাদনায় কুয়াকাটার সৈকত উৎসব মুখর

45

কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি: শুধু প্রেমিক-প্রেমিকা জুটি নয়, ভালবাসার টানে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় ঘুরতে আসে আনেকেই। বিশ্ব ভালবাসা দিবসে আনন্দ-উম্মাদনায় পুরো সৈকত জুড়ে বিরাজ করছে এক উৎসব মুখর পরিবেশ। সমুদ্রের ছোট ছোট ঢেউয়ে সাথে কেউ সাতার কাটছেন। কেউবা নোনা পানিতে পা ভিজিয়েই আনন্দে আত্মহারা। কেউ সৈকতে দাড়িয়ে প্রিয়জনের সাথে সেফলি তুলেছেন। অবার কেউ কেউ মনের সেই জমানো, অব্যক্ত কথাগুলো প্রকাশ করছে। কুয়াকাটার সৈকতে এ যেন কাপল মেলা বসেছে। তবে পর্যটন ব্যবসায়িরা বলেছেন বিশ্ব ভালবাসা দিবসে গত বছরের চেয়ে এবছর পযটকের সংখা খুবই কম। আগত এসব পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে ট্যুরিষ্ট পুলিশ, থানা পুলিশ ও নৌ-পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
কুয়াকাটার সৈকত ঘুরে দেখে গেছে, লেম্বুর চর, ঝাউবন, গঙ্গামতির লেক, কাউয়ার চর, মিশ্রিপাড়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, রাখাইন তাঁতপল্লী, শুটকী পল্লী ফিস ফ্রাইপল্লীতে ও আলীপুর-মহিপুর মৎস্যবন্দরেও রয়েছে পর্যটকদের উচ্ছাসিত উপস্থিতি। এরা অনেকে এসেছেন স্ব-পরিবারে। সৈকতে নেচে গেয়ে আনন্দ উন্মাদনায় মেতেছেন তারা। আবার অনেকেই সৈকতের বেঞ্চিতে বসে উপভোগ করছেন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য। এ সকল পর্যটকদের ভীড়ে পর্যটন নির্ভর ব্যবসায়িদের ব্যস্ততাও বেড়ে গেছে। তবে সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারে প্রশাসন তৎপর থাকলেও পর্যটকরা ছিল উদাসীন।
সৈকতে দাঁড়িয়ে কথা হয় মো.জালাল আহম্মেদ ও জেসমিন আক্তারের সাথে। মাত্র ক’দিন আগে তাদের বিয়ে হয়েছে। কথা প্রসংঙ্গে জানান, এই প্রথম তারা কুয়াকাটায় এসেছেন। এ দিবসটি স্মরণে থাকবে। সৈকতে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালি স্থাপন এক অন্যরকম অনুভূতি। আর এখানকার বেশকিছু স্মৃতি মোবাইল ধারণ করে রেখেছি। এছাড়া তারা উপভোগ করছেন সাগরের সৌন্দর্য, একই স্থান থেকে সূর্যোদয়-সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য। অপর এক পর্যটক দম্পতি সোহান ও জুই বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে দুইটি বছর ঘর কোনা হয়ে গেছি। তাই এবছর আর কোন বাঁধাই মানিনি।
সৈকত লাগোয়া ব্যবসায়ি স¤্রাট বলেন, ভালোবাসা দিবসে কুয়াকাটার সৈকত এখন যুবক-যুবতী ও নবদম্পতিদের দখলে।
হোটেল সমুদ্র বাড়ির ব্যবস্থাপক মো.জহিরুল ইসলাম মিরন বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে গতবছরের চেয়ে এবছর পর্যটকদের সংখ্যা খুবই কম। যারা এসেছে তাদের করোনা ভাইরাসের টিকা কার্ড এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনেই রুম বুকিং দিয়েছি। কাপলদের ফুলেল শুভেচ্ছা ও বাহারী চকলেট দিয়ে বরন করা হবে।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারি পুলিশ সুপার মো.আবদুল খালেক বলেন, পর্যটকদের নিরাপদ ভ্রমনে তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। এছাড়া দর্শনীয় স্পট গুলেতে তাদের পুলিশ টহলে রয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্যবিধি মানতে পর্যটকদের সচেতনতায় প্রচার প্রচারনা অব্যাহত রয়েছে বলে তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।