Home সাহিত্য ও বিনোদন আজ কবি রুদ্র’র ৬৬তম জন্মবার্ষিকী

আজ কবি রুদ্র’র ৬৬তম জন্মবার্ষিকী

49

মোংলা থেকে মো. নূর আলমঃ ’ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’ গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র আজ ১৬ অক্টোবর রবিবার ৬৬ তম জন্মবার্ষিকী। ১৯৫৬ সালের ১৬ অক্টোবর কবি রুদ্র জন্মগ্রহন করেন। তিনি শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের একটা বড়ো সময় কাটিয়েছেন মোংলার মিঠেখালি নিজগ্রামে। বাংলাদেশের কবিতায় অবিস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাঁকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।
দিনটির স্মরণে রুদ্র স্মৃতি সংসদ, মিঠাখালী আজ কবির গ্রামের বাড়ি মোংলার মিঠেখালিতে সকালে শোভাযাত্রা সহকারে কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মিলাদ মাহফিল,দোয়া এবং স্মরনসভার আয়োজন করেছে। এছাড়া সন্ধ্যায় রুদ্র স্মৃতি সংসদ মিঠাখালী বাজারে জন্মদিনের কেককাটা এবং রুদ্রের গান ও কবিতা আবৃত্তির আযোজন করেছে। এছাড়া রুদ্র’র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সিপিবি, সস্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, মোংলা নাগরিক সমাজ, প্রথম আলো বন্ধুসভা মোংলা, মিঠাখালী বাজার বণিক সমিতি, মোংলা সাহিত্য পরিষদ, মোংলা কবিতা পরিষদ, শিরিয়া বেগম মধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসুচি গ্রহণ করেছে। অকাল প্রয়াত এই কবি তার কাব্যযাত্রায় যুগপৎ ধারণ করেছেন দ্রোহ ও প্রেম, স্বপ্ন ও সংগ্রামের শিল্পভাষ্য। ‘জাতির পতাকা আজ খামচে ধরেছে সেই পুরোনো শকুন’- এই নির্মম সত্য অবলোকনের পাশাপাশি ততোধিক স্পর্ধায় তিনি উচ্চারণ করেছেন- ‘ভুল মানুষের কাছে নতজানু নই’। যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে অনমনীয় অবস্থান তাঁকে পরিণত করেছে ‘তারুণ্যের দীপ্ত প্রতীক’-এ। একই সঙ্গে তাঁর কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। মাত্র ৩৫ বছরের (১৯৫৬-১৯৯১) স্বল্পায়ু জীবনে তিনি সাতটি কাব্যগ্রন্থ ছাড়াও গল্প, কাব্যনাট্য এবং ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ সহ অর্ধ শতাধিক গান রচনা ও সুরারোপ করেছেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন।‘উপদ্রুত উপকূল’ ও ‘ফিরে চাই স্বর্নগ্রাম’ কাব্যগ্রন্থ দুটির জন্য ‘সংস্কৃতি সংসদ’ থেকে পরপর দু’বছর ‘মুনীর চৌধুরী সাহিত্য পুরষ্কার লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন।