Home জাতীয় আগামী মে থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের...

আগামী মে থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের উদ্বোধন

34

স্টাফ রিপোটার: বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি শতকরা প্রায় ৮০ ভাগ জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এমপি বলেন, আগামী বছর মে থেকে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন করা হবে।

তিনি আরো বলেন, আগামীকাল মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন প্রান্ত থেকে ভার্চুয়ালি নবনির্মিত ১০০টি সেতুর শুভ উদ্বোধন করবেন এবং আগামী ২৬ নভেম্বর ২০২২ তারিখে কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত দুই টিউব বিশিষ্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের দক্ষিণ পাশের টিউবের পূর্ত কাজের সমাপনী উদযাপনে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন।

মন্ত্রী আজ সকালে ২.৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের দশ লেন বিশিষ্ট টঙ্গী সেতুর টঙ্গী ফ্লাইওভারের হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী ফায়ার সার্ভিস অংশে ঢাকামুখী ২টি লেন যান চলাচলের জন্য উন্মুক্তকরণ শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী বলেন, সাড়ে ২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের গ্রেটার ঢাকা সাসটেইনেবল আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রজেক্ট (বি আরটি, গাজীপুর-এয়ারপোর্ট) প্রকল্পের প্রাক্কলিত মোট ব্যয়: ৪ হাজার ২ শত ৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ১ হাজার ৪ শত ২৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৮ শত ৪২ কোটি টাকা। বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক, ফরাসী উন্নয়ন সংস্থা এবং গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি এর অর্থায়নে প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ), বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (বিবিএ) এবং স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এয়ারপোর্ট থেকে আজমপুর এবং টঙ্গী কলেজ থেকে গাজীপুর পর্যন্ত ১৬ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ, বিআরটি লেন, ৭টি ফ্লাইওভার, ১৯ টি বিআরটি স্টেশন, ২৫ কিলোমিটার ড্রেন, ২টি টার্মিনাল এবং হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংলগ্ন আন্ডারগ্রাউন্ড পথচারী টানেল নির্মাণ করছে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর। এ অংশের অগ্রগতি শতকরা ৮২.৫০ ভাগ। আজমপুর হাউজ বিল্ডিং থেকে টঙ্গী কলেজ পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়ক উন্নয়ন ও প্রশস্তকরণ, সাড়ে ৪ কিলোমিটার এলিভেটেড বিআরটি লেন, ১০ লেন বিশিষ্ট টঙ্গী সেতু এবং ৬টি বিআরটি স্টেশন নির্মাণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ। সে অংশের অগ্রগতি শতকরা ৭২.৭০ ভাগ। এছাড়া স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্তৃক ফিডার রোড নির্মাণ, গাজীপুরে বিআরটি বাস ডিপো নির্মাণ, ট্রাফিক কন্ট্রোল ইকুইপমেন্ট ক্রয় এবং সৌর বিদ্যুৎ চালিত সড়ক বাতি স্থাপনের কাজ বাস্তবায়িত হচ্ছে।

উল্লেখ্য, আগামীকাল সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর কর্তৃক দেশের ২৫টি জেলায় বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে নবনির্মিত যে ১০০ টি সেতুর শুভ উদ্বোধন করা হবে তার মধ্যে চট্টগ্রাম সড়ক জোনের আওতায় সর্বোচ্চ ৪৫টি সেতু, সিলেট জোনের আওতায় ১৭ টি, বরিশাল জোনের আওতায় ১৪ টি, ময়মনসিংহ জোনের আওতায় ৬টি, ঢাকা জোনের আওতায় ২টি, কুমিল্লা জোনের আওতায় ১টি, রাজশাহী, রংপুর এবং গোপালগঞ্জ জোনের আওতায় ৫টি করে মোট ১০০ টি সেতু। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি সেতু হল মানিকগঞ্জের ঘিওর সেতু, শেরপুর জেলার শিমুলতলী ও পোড়াদহ সেতু, খাগড়াছড়ি জেলার লোগাং সেতু, সুনামগঞ্জ জেলার রানীগঞ্জ কুশিয়ারা সেতু, দিনাজপুর জেলার কাহারোল সেতু এবং চট্টগ্রাম জেলার কালারপোল ও বরকল সেতু।

টঙ্গী ফ্লাইওভারের ঢাকামুখী ২টি লেন যান চলাচলের উন্মুক্তকরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল এমপি, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী, সেতু বিভাগের সচিব ও বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মোঃ মনজুর হোসেন, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম মনির হোসেন পাঠান, গাজীপুর নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আজমত উল্লা খানসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।