Home বাণিজ্য ও অর্থনীতি আগামী অর্থ বছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার–বাণিজ্যমন্ত্রী

আগামী অর্থ বছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার–বাণিজ্যমন্ত্রী

36

ডেস্ক রিপোর্ট: বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের ২০২১-২২ অর্থ বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সকল বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪৩.৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এবং ৭.৫০ বিলিয়ন ডলার সেবাখাতে রপ্তানি হবে। এবার ১২.৩৭% রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি (জুম প্লাটফর্মে) ২০২১-২২ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ঘোষণা সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান রপ্তানির ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রপ্তানিখাত সচল রয়েছে এবং রপ্তানিখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে রপ্তানিখাতকে প্রণোদনা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। রপ্তানিপণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বেশকিছু সেক্টরকে পণ্য রপ্তানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাত গুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আশা করা যায়, এ খাতগুলোর রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সেলরগণ কাজ করছেন।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসান বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, লেদার এন্ড ফুটওয়্যার ম্যান্যুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং টেনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাহীন আহমেদ।