Home সারাদেশ অভিযোগকারী যখন আসামী!

অভিযোগকারী যখন আসামী!

136

স্টাফ রিপোটার: জাতীয় পরিসেবা মাধ্যম ৯৯৯-এ অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে রাজধানীর শ্যামপুর থানা পুলিশ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী ও নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ করেছে মোসাম্মৎ মুনা গোমস্তা নামে ভুক্তভোগী এক নারী । বুধবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচাস্থ বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করেছেন তিনি ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ভুক্তভোগী নারী বলেন, গত ২৭ আগস্ট তার পূর্ব পরিচিত শিরিন বেগমের ভাড়া বাসায় জন্ডিস রোগের চিকিৎসার জন্য যান। সেখানে তিনি একটি রুমে প্রবেশ করলে পূর্ব পরিকল্পনা মতে তার পিছন থেকে তাকে আঘাত করা হয়। এরপর তাকে সেখানে চারজন ব্যক্তি তাকে বেধরম মারধর শুরু করে। একপর্যায়ে তিনি বুঝতে পারেন যে, পূর্ব শত্রুতার জেরে গত ২২ জুলাই ‘ডাচ বাংলা ব্যাংক থেকে তোলা ৮০ হাজার টাকা ও কিছু খুচরা টাকাসহ মোট ৯৬ হাজার টাকা ৩টি আংটি ও একটি রেডো ঘড়ি নিয়ে নেয়। এরপর তার হাত ও মুখ বাঁধা হয়। সেখানে তার পুর্ব পরিচিতি পলি ও কলি নামে দুই মহিলাসহ ৪-৫ জন ছিল। এক পর্যায়ে জীবন বাঁচাতে চিৎকার করলে তারা তার হাত মুখের বাধন খুলে দেয়। এরপর দৌড়ে রুরে বাইরে গিয়ে রুমের সিটকানি দিয়ে ৯৯৯ কল করেন। পরে শ্যামপুর থানার ওসি ফোন নাম্বার পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে মেসেজ পাঠানো হয়। আর পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে তাকে ম্যাসেজ পাঠানোর পর ওসির নম্বরে কল করা হয়। এসময় তাকে নির্যাতনে কথা বলার পর ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠান তিনি।
তিনি আরো বলেন, পুলিশ তার কথা শুনে এবং তার শারীরিক অবস্থা দেখে নির্যাতনকারীদের আটক করে থানায় নিয়ে যান থানার এসআই সোহাগ। পরে তাকেও থানায় যেতে বললে তিনি শ্যামপুর থানায় গিয়ে ওসির সাথে দেখা করতে চাইলে তাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
তিনি বলেন, তার লিখিত অভিযোগ নেয়নি পুলিশ। থানার এস আই সোহাগ তাকে ঢুকতে না দিয়ে সন্ধ্যার পর ওসির রুমে তাকে ডাকা হয়। সেখানে তার সঙ্গে নোংরা ও অকথ্য ভাষায় কথা বলা হয়। এরপর তার অফিস থেকে ফোন করলেও তিনি কথা বলতে রাজী হননি। পরে তিনি লিখিত অভিযোগ নিতে বললে পুলিশ তাকে মারধর করেন। এসময় তিনি অসুস্থ হাসপাতালে যেতে চাইলে তাকে বলা হয়, বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত থানা থেকে বের হতে পারবেন না। এরপর রাত ১টা থেকে দেড়টার দিকে থানার কর্মরত কয়েকজন পুলিশ সদস্য শারিরিক নির্যাতন সহ নানা হুমকি দেন। তাদের হাত থেকে বাচার জন্য তাদের হাত পা ধরে আকুতি করেন। যা থানার সিসি ক্যামেরা দেখলে প্রমাণ পাওয়া যাবে বলে ভুক্তভোগি নারী জানিয়েছেন।একপর্যায়ে তার কাছে মুক্তির জন্য টাকা দাবি করা হয়। আর তার ফোন সেট নিয়ে নেয় পুলিশ। এরপর মিথ্যা মামলা দিয়ে হাজতে পাঠানো হয়।
সংবাদ সম্মেলণে ভুক্তভোগি নারী প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পুলিশের আইজি, ডিএমপি কমিশনার সহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে শ্যামপুর থানায় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।