Home সারাদেশ কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি

কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি

40

মানববন্ধন-সমাবেশ

বিশেষ প্রতিনিধি: কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন পরিবেশ আন্দোলন ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকার ৫৩১ কোটি ৭ লাখ টাকার ‘কপোতাক্ষ নদের জলাবদ্ধতা দূরীকরণ প্রকল্প (২য় পর্যায়) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু ওই প্রকল্পের তালার উপজেলার বালিয়া থেকে পাইকগাছা উপজেলার আগড়ঘাটা পর্যন্ত খনন এখনো শুরু হয়নি। নদী ভাঙ্গন ও জলাবদ্ধতা নিরসনে ওই অংশের খনন কাজ দ্রুত শুরু করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার মাহমুদকাটি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ওয়াটারকিপারস বাংলাদেশ এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন আয়োজিত মানববন্ধন ও সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানান তারা। সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল চন্দ্র ভদ্র-এর সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তৃতা করেন প্রবীণ শিক্ষক গণেশ চন্দ্র ভট্টাচার্য্য, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক সাকিলা পারভীন, সচেতন সংস্থার সভাপতি বিদ্যুৎ বিশ্বাস, অনির্বাণ লাইব্রেরির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক মানিক ভদ্র ও বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রভাত দেবনাথ, পাইকগাছা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মো. আব্দুল আজিজ, আলীম সাহিত্য সংসদের সাধারণ সম্পাদক সানজিদুল ্হাসান, সাবেক ইউপি সদস্য ভারতী রানী দে, প্রভাষক সাইফুল ইসলাম, উন্নয়নকর্মী দুলাল দেবনাথ, সাংবাদিক রিয়াদ হোসেন, পরিবেশকর্মী আলাউদ্দিন গাজী প্রমূখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলীয় অঞ্চল এমনিতেই দুর্যোগের ঝুঁকিতে আছে। এরপর কপিলমুনিতে সেতু নির্মাণের নামে পিলার স্থাপন করে ২০ বছর ধরে নদীর পানিপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করায় নদীটি মৃতপ্রায়। অথচ এই কপোতাক্ষ নদের প্রবাহ স্বাভাবিক না রাখতে পারলে সাতক্ষীরা, খুলনা, যাশোর ও ঝিনাইদহ জেলার কপোতাক্ষ পাড়ের মানুষের জীবন-জীবিকায় বিপর্যয় নেমে আসবে। এই পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সরকার কপোতাক্ষ নদ খনন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পটি যথাযথ ভাবে বাস্তবায়নের পাশাপাশি সকল নদী রক্ষায় জনগণতে সচেতন হতে হবে।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে অত্র অঞ্চলের প্রধান নদ-নদী গুলো একদিকে যেমন নাব্যতা হারিয়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করছে, অপরদিকে নদী ভাঙ্গনসহ নানা কারণে প্রতিবছর শত শত পরিবার উদ্বাস্তু হচ্ছে। টেকসই কোন উন্নয়ন পরিকল্পনা না থাকায় এ ধরণের সমস্যা প্রতিবছর বাড়ছে। কপোতাক্ষ-শিবসাসহ উপকূলীয় অঞ্চলের অন্যান্য নদ-নদী খনন ও উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য নীতিনির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান।