Home জাতীয় অভিবাসী শ্রমজীবীদের বিশেষ মর্যদা দাও

অভিবাসী শ্রমজীবীদের বিশেষ মর্যদা দাও

33

ডেস্ক রিপোর্ট: ১৮ডিসেম্বর ৩১তম বিশ্ব অভিবাসী দিবস উপলক্ষে আজ ১৯ ডিসেম্বর রবিবার সকাল-১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ করে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট। সমাজকান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সভাপতি রাজেকুজ্জামান রতন এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, কোষাধ্যক্ষ জুলফিকার আলী, সংস্কৃতি সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ট্যুরিজম এন্ড হোটেলস ওয়ার্কর্স এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের আহবায়ক রাশেদুর রহমান রাশেদ প্রমুখ।সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশের ˆবদেশিক মুদ্রার সবচেয়ে বড় উৎস হলো প্রবাসী শ্রমিকরা। প্রতি বছর ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি ˆবদেশিক মুদ্রা প্রেরণ করে প্রবাসে অবস্থানকারী প্রায় ১ কোটি ৩০ লক্ষ অভিবাসী বাংলাদেশী শ্রমজীবীরা। করোনাকালে সারাবিশ^ যখন প্রচন্ড অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে সেই সময়ও আমাদের অভিবাসী শ্রমজীবীরা ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স পাঠিয়ে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে রেখেছে। অথচ রাষ্ট্র অভিবাসী শ্রমিকদের মর্যদা দেয়না। প্রবাসে যেতে বা প্রত্যাবর্তনে পদে পদে হয়রানির শিকার হতে হয় এই মানুষগুলিকে। নির্দিষ্ট সময়ে যওয়ার বাধ্যতার সুযোগ নিয়ে অতিরিক্ত বিমান ভাড়াসহ কয়েকগুণ বেশী অভিবাসন ব্যয় আদায় করা হয়। প্রবাসে নির্যাতন আর কঠোর পরিশ্রমের ফলে প্রতিদিন প্রায় ১২জন প্রবাসী শ্রমিকের লাশ দেশে ফেরত আসে। প্রতিটি নাগরিকের কাজের ব্যবস্থা করে দেওয়ার দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রের ব্যর্থতায় প্রবাসী শ্রমিকরা কর্মসংস্থানের জন্য সহায় সম্পত্তি বিক্রি করে বিদেশে যায়। ফলে ঐ শ্রমিকের মৃত্যু বা প্রতারণার শিকার হয়ে প্রত্যাবর্তনে তার ওপর নির্ভরশীল পুরোপরিবার অসহায় অবস্থায় পরে। প্রত্যাবর্তিত প্রবাসী শ্রমিকদের পুনর্বাসনের জন্য রাষ্টের পরিকল্পিত কোন উদ্যোগ নেই। রাষ্ট্র, করোনায় টাকা পাচারকারী ধন্যাঢ্য ব্যবসায়ীদের হাজার হাজার কোটি টাকা অর্থ সহায়তার ব্যবস্থা করেছে। অথচ প্রবাসী শ্রমিকদের রক্ষায় তেমন কোন উদ্যোগ নেই। নেতৃবৃন্দ প্রবাসে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের জন্য যথাযথ ক্ষতিপূরণ আদায় এবং প্রত্যাবর্তিত অভিবাসীদের পুনর্বাসনের জন্য বিনাসুদে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঋণ প্রদানের দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ, নেপাল-ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিনś দেশের উদাহরণ তুলে ধরে বাংলাদেশের প্রবাসী শ্রমিকদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়ে বলেন, সংগঠিত হওয়ার সুযোগ পেলে প্রবাসী শ্রমিকরা কাদের শ্রম অধিকারের জন্য দরকষাকষির সুযোগ পাবে। নেতৃবৃন্দ, নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে মধ্যপ্রাচ্যে গৃহকর্মের কাজে নারী কর্মী প্রেরণ বন্ধ এবং অভিবাসন ব্যয় শুণ্যে নামিয়ে আনার দাবি জানান।