Home সারাদেশ অডিও রেকর্ড ফাঁশ !শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাকে হত্যা, চাকরিচ্যুতির হুমকি

অডিও রেকর্ড ফাঁশ !শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তাকে হত্যা, চাকরিচ্যুতির হুমকি

29

পাভেল ইসলাম মিমুল রাজশাহী ব্যুরো: মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড রাজশাহীর এক কর্মকর্তাকে পুলিশ কমিশনার হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেবেন,ডিবি পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে তাকে মারধোর করা হবে,শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান তাকে চাকরিচ্যুত করবেন এবং ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি ফজলে হোসেন বাদশা জাতীয় নির্বাচনে হারলে সরকারের পতন হবে,এমনই এক আলাপচারিতার অডিও রেকর্ড হাতে এসেছে সংবাদকর্মীদের হাতে।

শিক্ষা বোর্ডের ঐ কর্মকর্তার নাম জাহিদুর রহিম। তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক। ফাঁশ হওয়া অডিও রেকর্ডটি শহীদ মামুন পুলিশ লাইনস স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ ড. মো: গোলাম মওলার।

১৯ মিনিট ১৫ সেকেন্ডের ঐ অডিও রেকর্ডে অধ্যক্ষ গোলাম মওলাকে রাজশাহীর রাজনীতি,শিক্ষা বোর্ডের নানা দূর্নীতি,অনিয়ম সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিষদগার করতে শোনা যায়।

কথাবার্তার মধ্যে তাঁকে বলতে শোনা যায়,পুলিশ কমিশনারের সাথে কথা হয়েছে,কথা না শুনলে ওকে হাত-পা বেঁধে পদ্মা নদীতে ভাসিয়ে দেব। আবার আরেক জায়গায় বলা হচ্ছে ডিবি পুলিশ দিয়ে উঠিয়ে নিয়ে মারধোর করা হবে। শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের উক্তি দিয়ে বলা হচ্ছে দরখাস্ত করছেন না কেন,দরখাস্ত করুন,ওর চাকরি খেয়ে নেব। আবার ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা এমপি বাদশার নৌকা জিতবে,না আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুর রহমান বাদশা জিতবে এটা নিয়ে কথা ওঠে।

গোলাম মওলা বলেন,এমনিতেই দুই বাদশাকে নিয়ে বিপদে আছি। আবার বলতে শোনা যায়,ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা ফজলে হোসেন বাদশা-ই জিতবে,না জিতলে সরকারের পতন হয়ে যাবে !

বিষয়টি নিয়ে রাজশাহীতে এখন শিক্ষাবোর্ড সহ নানা মহলে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। কেউ বলছেন,গোলাম মওলার মত একজন দায়িত্বশীল মানুষের এ ধরনের কথাবার্তা বলা একদম ঠিক হয়নি।কেউ বলছেন,কি এমন দোষ করেছেন জাহিদুর রহিম,যে তাকে এত হেনস্তা করা হচ্ছে। আবার কেউ বলছেন আসলে জাহিদুর রহিম-ই দোষী,না তাকে ফাঁসানো হচ্ছে। শিক্ষা বোর্ড সচিব ও চোয়ারম্যান-ই তো দোষী,কারণ তারাই অবৈধভাবে মেয়েটির সংশোধনী পাশ করেছেন।

এবিষয়ে শিক্ষা বোর্ড কর্মকর্তা জাহিদুর রহিম বলেন, অধ্যক্ষ জনাব ডঃ গোলাম মাওলা কি কারণে আমাকে হুমকি দিয়েছে তা আমার বোধগম্য নই,তবে তিনি আমাকে অনৈতিক ভাবে জন্মতারিখ সংশোধন করে দেওয়ার জন্য চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছিলেন,যা আমি স্বাক্ষর করতে অপারগতা প্রকাশ করছি।মিটিং শেষে পরবর্তীতে মেয়েটির কাছে থেকে একটা আবেদন লিখিয়ে নিয়ে চেয়ারম্যান মহোদর ও সচিত্র মহোদয় কে ডেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে একটা রেজুলেশন লিখে নেয়। গত ৩০/১২/২০২৩ তারিখে আমাকে চাকুরী চুত্য করবেন বলে জানান।

আমি অবশ্যই এ বিষয়ে আইনী ব্যবস্থা নিবো। মেয়েটির ভর্তি বহি,ঘওউ, জন্মনিবন্ধন অনুযায়ী অনৈতেক ভাবে ডঃ গোলাম মাওলা সংশোধন করেন। আমি শিক্ষা বোর্ডের ভাবমূর্তি রক্ষায় জন্য অনৈতিক কাজে অসহযোগিতা করছি।

জানতে চাইলে ড. গোলাম মওলা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।