Home রাজনীতি অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: বাম জোট

অগ্নিকাণ্ডের কারণ উদ্ঘাটন করে দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে: বাম জোট

43

স্টাফ রিপোটার: বাম গণতান্ত্রিক জোট কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের নেতৃবৃন্দ আজ ৬ এপ্রিল সকাল সাড়ে এগারোটায় আগুনে ভস্মিভূত বঙ্গবাজার মার্কেট এলাকা সরেজমিন পরিদর্শন করেন।
বাম জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও বাসদের সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজের নেতৃত্বে পরিদর্শন টিমে আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিবি’র সভাপতি মোহাম্মদ শাহ আলম, সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবীর জাহিদ, বাসদ মার্কসবাদী’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির নেতা শহীদুল ইসলাম সবুজ, সমাজতান্ত্রিক পার্টির নির্বাহী সভাপতি আব্দুল আলী, সিপিবি কেন্দ্রীয় নেতা এড. আনোয়ার হোসেন রেজা, বাসদ মার্কসবাদী নেতা সীমা দত্ত, বাসদ নেতা আনোয়ার হোসেন, কমুনিস্ট লীগ নেতা বিধান দাস।
পরিদর্শনকালে বাম জোট নেতৃবন্দ বঙ্গবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন দোকানের কর্মচারী, ক্ষুদে ব্যবসায়ী, হকার ও স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী জনগণের সাথে কথা বলেন।
নেতৃবৃন্দ ক্ষতিগ্রস্থ দোকান মালিক, কর্মচারীদের প্রতি সহাভুতি জানান এবং পুড়ে যাওয়া বিভিন্ন এলাকা ঘুরে ঘুরে দেখেন। পরিদর্শনকালে আজ তৃতীয় দিনেও ভস্মিভূত মার্কেটের বিভিন্ন স্থান থেকে আগুনের ধূয়া উড়তে দেখতে পান। মার্কেটটি যেহেতু প্রধানত কাপড়ের ছিল ফলে আগুন নিভানোর পরও তুষের আগুনের মতো ধিকি ধিকি করে এখনও আগুন জ্বলছে।
বাম জোটের নেতৃবৃন্দ পরিদর্শন শেষে এক বিবৃতিতে বলেন, শুধু বঙ্গবাজারের দোকান পুড়ে নাই, এতে লক্ষ লক্ষ মানুষের ভবিষ্যৎ পুড়ে গিয়েছে। বঙ্গবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিল, চারটি নদী বেষ্টিত ও ২২টি খাল যে শহরে ছিল, সেই ঢাকায় আগুন নেভানোর জন্য প্রয়োজনীয় পানির অভাব। বাম জোট বঙ্গাবাজারের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় সরকারের প্রতি ৫ দফা দাবি জানান।
দাবিগুলো তুরে ধরা হলো:
(১) ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের যথাযথ তালিকা করে দুর্নীতি ও দলীয়করণমুক্তভাবে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন করতে হবে।
(২) সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের কারণ এবং দ্রুত সময়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেত না পারার কারণ উদ্ঘাটন ও দায়ীদের আইনের আওতায় আনতে হবে।
(৩) ঈদের আগে অস্থায়ীভাবে একই স্থানে ব্যবসা করার ব্যবস্থা করতে হবে।
(৪) প্রতিটি মার্কেট ও কমপ্লেক্স নির্মাণের সময় পুকুর, জলাধার, সুইমিংপুল নির্মাণ বাধ্যতামূলক করতে হবে।
(৫) ঢাকা শহরের খাল ও জলাধারসমূহ দখলমুক্ত করে উদ্ধার করতে হবে।