Home জাতীয় সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: পুলিশের হামলা, ১০ সাংবাদিক আহত

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন: পুলিশের হামলা, ১০ সাংবাদিক আহত

25

স্টাফ রিপোটার: সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কন্দ্রে করে আওয়ামী লীগ-বাম ও বিএনপি-জামাত সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হইচই, হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবিতে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিতে থাকলে আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবীরাও পাল্টাপাল্টি স্লোগান দিচ্ছিলো। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে পুলিশ লাঠিপেটা করে । এতে সাংবাদিকসহ প্রায় ১৫ জন আহত হন।

এ ঘটনার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নিতে গেলে অতর্কিতভাবে সাংবাদিকদের মারধর ও লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এতে ১০ জন সাংবাদিক আহত হন। এদিকে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রায় ৫ শতাধিক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

জানা গেছে, গত সোমবার নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এ নিয়ে মঙ্গলবার দিনভর আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা চলে। সন্ধ্যার পর সমিতি প্রাঙ্গণে আহ্বায়ক কমিটির প্রধান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়।
আওয়ামী লীগ-বাম সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন। অন্যদিকে বিএনপি-জামাত সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন। এনিয়ে রাতে দুই পক্ষ আইনজীবীদের মধ্যে ধস্তাধস্তির ঘটনাও ঘটে।

সরেজমিনে দেখা যায়, বুধবার সকাল ১০টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরুর কথা থাকলেও নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটি গঠনের দাবিতে ভোটকেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত অডিটোরিয়ামে বিক্ষোভ শুরু করেন বিএনপি-জামাতপন্থী আইনজীবীরা। সকাল সাড়ে ১১টায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অডিটোরিয়ামে প্রবেশ করে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের ওপর লাঠিচার্জ করে বের করে দেয়। ‘আগে চাই কমিশন, তারপরে নির্বাচন’ বলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা স্লোগান দিতে দেখা যায়। এরপর দুপুর পৌনে ১২টায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়।

আহত সাংবাদিকরা হলেন এটিএন নিউজের রিপোর্টার জাবেদ আক্তার, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ, জাগো নিউজের সিনিয়র রিপোর্টার ফজলুল হক মৃধা, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন হুমায়ুন কবির, সময় টিভির ক্যামেরাপার্সন সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাপার্সন মেহেদী হাসান মিম, প্রথম আলোর জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক শুভ্র কান্তি দাস ও বৈশাখী টিভির ক্যামেরাপার্সন ইব্রাহিম।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী কামরুল ইসলাম সজল বলেন, এ নির্বাচন পরিচালনা কমিটির অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। আমরা নতুন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির গঠনের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছি।

এদিকে আওয়ামী-বামপন্থি আইনজীবীরা অভিযোগ করছেন, ব্যারিস্টার খোকন ও কাজলের নেতৃত্বে ব্যালট পেপার ছিনতাই করা হয়েছে। বিএনপি-জামাতপন্থি আইনজীবীদের অভিযোগ, মঙ্গলবার রাতেই ব্যালট পেপারে সিল মারা হয়েছে।