Home কুটনৈতিক ও প্রবাস মরিশাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

মরিশাসে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালিত

44

ডেস্ক রিপোর্ট: বাংলাদেশ হাইকমিশন পোর্ট লুইস , মরিশাস “শতবর্ষে জাতির পিতা, সুবর্ণে স্বাধীনতা, অভিবাসনে আনবো মর্যাদা ও নৈতিকতা” এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে এ বছর আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস-২০২১ উদযাপন করে। অনুষ্ঠানের শুরুতে দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রদত্ত মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় মন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পররাষ্ট মন্ত্রণালয় ও প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও সচিব, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এর বাণী পাঠ করে শোনান হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে রেমিটেন্স সম্মাননা পুরস্কার, ২০২১এবং প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীদের অংশগ্রহণে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বিজয়ের 50 বছর উপলক্ষে কেক কাঁটা হয়। মরিশাসে পুনরায় কোভিড-19 এর প্রার্দুভার বেড়ে যাওয়ায় সরকার কর্তৃক জারীকৃত নতুন প্রটোকল অনুযায়ী সীমিত সংখ্যক অতিথির উপস্থিতিতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

মান্যবর হাইকমিশনার মিজ রেজিনা আহমেদ তাঁর বক্তব্যের প্রথমেই হাজার বছরের সর্বশেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির পিতা ও স্বাধীনতার মহান স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং তাঁর পরিবারের সকল সদস্যকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন এবং বলেন যে, বর্তমান সরকার প্রবাসী বান্ধব সরকার। বাংলাদেশ অবৈধ অভিবাসন উৎসাহিত করে না, বাংলাদেশ সুশৃংখল, নিরাপদ এবং নিয়মিত অভিবাসনে বদ্ধপরিকর। বাংলাদেশ সকল প্রবাসীদের সুবিধার্থে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বিশেষ করে কোভিড-১৯ অতিমারীর কারণে ভূক্তভোগী কর্মীদের জন্য নানা পদক্ষেপ এবং বিশেষত: প্রবাসী কর্মীদের টিকা দানের ব্যবস্থা গ্রহণসহ সকল কার্যক্রম বিস্তারিত উল্লেখ করেন। বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণে প্রবাসীদের উদ্বুদ্ধকরণে বাংলাদেশ সরকার নগদ প্রণোদনা হিসেবে ২% ক্যাশ প্রদান করছে। এ প্রেক্ষিতে তিনি প্রবাসীদের বৈধপথে অর্থ প্রেরণ করার জন্য আহ্বান জানান। তিনি বলেন, বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রেরণ করলে মরিশাসসহ সকল পক্ষই লাভবান হয়। এছাড়া স্বাধীনতার ৫০ বছরে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের নানাদিক তুলে ধরেন। সরকারের এই উন্নয়নে বৈধপথে রেমিটেন্স প্রেরণের মাধ্যমে সরকারের হাতকে শক্তিশালী করারও আহ্বান জানান।

এ দিবসকে উপলক্ষ্য করে বৈধ পথে সর্বোচ্চ রেমিটেন্স প্রেরণকারীদের “রেমিটেন্স সম্মাননা ২০২১” প্রদান করা হয়। উল্লেখ্য, মিশন এ বছর চতুর্থবারের মতো এ সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এ বছর সর্বমোট দশজনকে বিশেষ পুরস্কার ও সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। মান্যবর হাইকমিশনার এ সম্মাননা তাঁদের হাতে তুলে দেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রবাসী বাংলাদেশীরা বৈধ পথে রেমিটেন্স প্রেরণে তাদের প্রতিশ্রুতি পুন:ব্যক্ত করেন এবং অংশগ্রহণকারী সকলেই এ ধরণের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় প্রবাসী বাংলাদেশী কর্মীগণ স্বত:স্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করে এবং বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। বিজয়ের পঞ্চাশ বছরপূর্তি উপলক্ষে কেক কাঁটা হয়। অনুষ্ঠান শেষে অংশগ্রহণকারীদের দেশীয় খাবার দ্বারা আপ্যায়ন করা হয়।