Home শিক্ষা ও ক্যাম্পাস অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ

269

স্টাফ রিপোর্টার: ২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় ১০৮৩ জন শিক্ষাথী জিপিএ পেয়ে অতীতের সকল রেকর্ড অতিক্রম করেছে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে এবার এসএসসিতে মোট অংশ নেয় ১৩৬২ জন। এরমধ্যে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েছে একজন। এবার পাশের হার ৯৯.৯৩ শতাংশ। এরমধ্যে ১৩৬১জন শিক্ষাথী কৃতকার্য হয়েছে।
এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশগ্রহন করেছে ১০৩০জন। তারমধ্যে ১জন পরীক্ষায় অনুপস্থিত ছিল। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ১০২৯জন। কৃতকার্য হয়েছে ১০২৯জন। পাশের হার শতভাগ। জিপিএ পেয়েছে ৯২৮জন। ব্যবসায় শিক্ষায় মোট ২৪৩জন শিক্ষার্থী অংশ নেয় এবং ২৪২জন কৃতকার্য হয়, আর ১জন অকৃতকার্য হয়েছে। এই শাখায় পাশের হার ৯৯.৫৮শতাংশ। জিপিএ পেয়েছে ১২৮জন। মানবিক শাখায় ৯০জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং ৯০জনই কৃতকার্য হয়। পাশের হার শতভাগ। তার মধ্যে জিপিএ পেয়েছে ২৭জন।
২০২১ সালেও এসএসসিতে ৯৩৯ এ+ অর্জিত হয়। প্রতিষ্ঠানের চোখধাঁধানো ধারাবাহিক অর্জন এসএসসিসহ সকল পর্যায়ে। গৌরবোজ্জ্বল সাফল্যে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ ঢাকাসহ সারাদেশে শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছে ক্রমশ আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। করোনা-উত্তর এসএসসির আনন্দঘন সাফল্যে শিক্ষার্থী-অভিভাবক সকলেই উচ্ছ্বসিত ও আবেগাপ্লুত।
ফলাফল প্রকাশোত্তর প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল মো. মাহবুবুর রহমান মোল্লা এসএসসি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, বিগত একাধিক বছর করোনার ভয়ংকর বিপর্যয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের পার হতে হয়েছে। জীবনের ঝুঁকির মধ্যেও আমরা প্রতিষ্ঠানের পড়াশোনার ধারাকে অব্যাহত রেখেছি। কিছুতেই পরীক্ষার্থীদের ঝিমিয়ে পড়তে দেইনি। তারই ফলশ্রুতি আজকের এই অর্জন। আল্লাহর কাছে অশেষ শুকরিয়া। গভর্নিংবডির চেয়ারম্যান জনাব আলহাজ্ব মো. সামসুদ্দিন ভূইয়া সেন্টু উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের আন্তরিক অভিনন্দন জ্ঞাপন করে বলেন, শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টা ও অভিভাবকদের নিয়মিত তদারকির ফলেই ছেলে-মেয়েরা এসএসসি পরীক্ষায় আশাব্যাঞ্জক ফল অর্জন করেছে। বিজ্ঞান শাখার এ+ প্রাপ্ত শিক্ষার্থী নাঈমা ইসলাম কথিকা আনন্দ উচ্ছ্বাস ব্যক্ত করার সাথে সাথে বলে, অর্জিত ফলাফলে আমি খুবই সন্তুষ্ট এবং আমার ভালো রেজাল্টের জন্য আমি শিক্ষকদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। জনৈক অভিভাবক বলেন, পড়াশোনা ও রেজাল্টে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজের কোনো বিকল্প নেই। তারা সবসময় খুব ভালো রেজাল্ট করে। দেশের মধ্যে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
নিত্যনতুন পরিকল্পনার মধ্য দিয়ে এ প্রতিষ্ঠান এগিয়ে চলছে। কোনো বাধার কাছেই প্রতিষ্ঠান পরাজিত হয় না। এসএসসি ও এইচএসসিতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ বারবার গৌরবোজ্জ্বল ফল অর্জন করে। ২০১৫ সালে এসএসসিতে ঢাকা বোর্ডে ফার্স্ট হয়েছে, ২০১২ সালে হয়েছে সেকেন্ড। ২০০৭ সালে শতকরা পাশের ভিত্তিতে এইচএসসিতে ঢাকা বোর্ডে এ প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট হয়। কেবল শ্রেণিকক্ষের লেখাপড়া নিয়েই এ প্রতিষ্ঠান সীমাবদ্ধ নয়, একটা বিস্তৃত সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলও রয়েছে। দেশের নামকরা উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ প্রতিষ্ঠানের ছেলে-মেয়েরা অধ্যয়নরত আছে। এখান থেকে উত্তীর্ণ ছাত্র-ছাত্রীদের অনেকেই বিসিএস সম্পন্ন ডাক্তার, প্রজাতন্ত্রের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, ঢাবি ও জবিসহ অনেকগুলো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। কেউ কেউ দেশের বাইরেও পিএইচডি গবেষণা করছে। আদর্শ ও মেধাবী শিক্ষার্থী সৃষ্টিতে সামসুল হক খান স্কুল অ্যান্ড কলেজ একটি অনন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।