দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি : কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শিশুসহ ২জনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। বন্যার পানিতে ডুবে জিহাদ (৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু হলে রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের উত্তর খারিজারথাক এলাকা থেকে ওই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত শিশু একই এলাকার আনুর আলীর ছেলে।
চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সয়দ আহমেদ জানান, উত্তর খারিজারথাক এলাকার আনুর আলীর ছেলে জিহাদ রোববার বিকেলে বাড়ির পাশে খেলতে গিয়ে বন্যার পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। পরে সন্ধ্যায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এবারের বন্যায় চিলমারী ইউনিয়নের ২০টি গ্রামই পানিবন্দি হয়ে পড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে জিহাদসহ ৩জন শিশুর মৃত্য হলো। এরআগে গত ১৮ আগষ্ট একই ইউনিয়নের দক্ষিণ খারিজারথাক গ্রামে বন্যার পানিতে ডুবে সিয়াম (৭) ও ঝুমা আক্তার (৭) নামে দুই শিশু মৃত্যু হয়।
অপরদিকে সীমান্তের মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসল করতে নেমে পানিতে ডুবে আনজিরা খাতুন (৩৫) নামে এক বিধবা নারী নিখোঁজ হলে রোববার ৭টার দিকে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ ও এলাকাবাসী। শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের সীমান্ত সংলগś ধর্মদহ পূর্বপাড়া গ্রামের পাশে মাথাভাঙ্গা নদীতে গোসলে নেমে ওই নারী পানিতে ডুবে নিখোঁজ হয়। উদ্ধার হওয়া মৃত নারী একই গ্রামের আকালী কারিগরের মেয়ে এবং ভেড়ামারা কুচিয়ামোড়া গ্রামের মৃত আনারুল ইসলামের স্ত্রী। আনজিরা খাতুনের মরদেহ নদীর কিনারে ভেষে উঠে জঙ্গলে আটকিয়ে থাকলে স্থানীয়রা তা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে দৌলতপুর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসী নিখোঁজ নারীর ভাষমান মরদেহ উদ্ধার করে।