ভোলা প্রতিনিধি॥ ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দুলার হাট থানার ১৬নং মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারমান আব্দুল ওদুদ’র স্বাক্ষরিত একটি প্রত্যায়ন পত্রের লেখা ফসবুকে ভাইরাল হয়েছে। চেয়ারম্যান কে নিয়ে ফেসবুকে বিভিন্ন মানুষ ট্রল করছে। একজন জনপ্রতিনিধি কি ভাবে এমন লেখা প্রত্যায়নপত্র দিয়েছে এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে।
সূত্রে জানা যায়, ইলিশা ফাঁড়িতে চোরাই সন্দেহে পুলিশ ১৩ টি মহিষ ও ২ টা গরু আটক করেন। ওই মহিষ মুজিবনগর ইউনিয়নের বাসিন্দা হত্যা মামলার আসামী শাহাজান গোলদারের স্ত্রী এসে দাবী করেন কিন্তু থানায় কোন জিডি না থাকায় আইনী জটিলতা দেখা দেয়। মহিষের মালিক শাহজাহান গোলদারের স্ত্রী এমন সত্যতা প্রমাণিত করতে মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের প্যাডে অসংগতিপূর্ণ একটি প্রত্যায়ন পত্র পুলিশ কাছে জমা দিয়েছে যেখানে স্বাক্ষর করছে পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল অদুদ।
অসংগতি লেখা প্রত্যায়ন পত্র ফেসবুকে পোষ্ট হলে মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। প্রশ্ন উঠে চেয়ারম্যানের যোগ্যতা অভিজ্ঞতা নিয়েও। একজন জনপ্রতিনিধি মহিষের প্রত্যায়ন পত্র কি ভাবে দেয় আবার সেই প্যাডে দুই ধরনের বক্তব্য যা চেয়ারম্যান অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। আবার অনেকে লিখেছে চেয়ারম্যানের চোঁখ ফাঁকি দিয়ে তার কোন নিকটবর্তী লোক এমন কা-হীন কাজ করছে কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা উচিত।
নাম প্রকাশ না করার সত্ত্বে চরফ্যাশন উপজেলার সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, চেয়ারম্যান যদি এই প্রত্যায়ন পত্র না দিতো তাহলে তো তিনি থানায় জিডি করতেন বা অন্য কোন আইনগত পদক্ষেপ নিতেন। চেয়ারম্যান অদুদের চুপ থাকাই প্রমান করে যে এই প্রত্যায়ন পত্র তিনি দিয়েছেন।
এদিকে শাহাজান গোলদারের স্ত্রীর কাছে জানতে চাইলে তিনি প্রথমে বলেন চেয়ারম্যান সাহেব নিজে দিয়েছে আবার কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কথা বলে বলেন যে আমার দেবরে এনে আমাকে দিয়েছে।
এ বিষয়ে মুজিবনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল অদুদ বলেন, আমার পরিষদের প্যাড সেটা ঠিক আছে তবে আমার স্বাক্ষর এটা না।
তিনি আরো বলেন, যে আমার মনে হয় প্যাড ও তারা নকল করেছে তবে আইনি কোন ব্যবস্থা আপনি নিবেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন সেটা অবশ্যই করবো।
দুলারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মোরাদ হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেনি।