Home রাজনীতি ৮৭১১ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প বাতিলের দাবি বাম জোটের

৮৭১১ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প বাতিলের দাবি বাম জোটের

36

ডেস্ক রিপোর্ট: বাম গণতান্ত্রিক জোট এর কেন্দ্রীয় পরিচালনা পরিষদের সভায় বলা হয়েছে, “দেশের অধিকাংশ মানুষ মনে করে ইভিএমকে আগামী নির্বাচনে কারচুপির অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। আর্থিক সংকটের সময়ে জনগণের দেয় অর্থের ৮৭১১ কোটি টাকার ইভিএম প্রকল্প বাতিল করতে হবে। সুষ্ঠু গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকার ও নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কারের ইস্যুকে আলোচনায় প্রাধান্য না দিয়ে ‘নির্বাচনী রোডম্যাপ’, ‘ইভিএম’ ইস্যুকে সামনে আনা বিশেষ উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দেশের মানুষকে রাজপথে নেমে গণআন্দোলনের মাধ্যমে ভোটের ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। কন্ট্রোল দামে নিত্যপণ্য সরবরাহ, দমন-পীড়ন-হামলা-মামলা বন্ধ, দুর্নীতি-লুটপাটের বিরুদ্ধে জনগণের সংগ্রামী ঐক্য গড়ে তুলে ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম অব্যাহত করতে হবে।”
আজ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ সকাল ১০টায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জোটের সমন্বয়ক, সিপিবি’র সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্সের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠত সভায় বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ)’র সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সম্পাদকম-লীর সদস্য অধ্যাপক আব্দুস সাত্তার, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সমন্বয়ক মাসুদ রানা, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহ্বায়ক হামিদুল হক, গণতান্ত্রিক বিপ্লভী পার্টির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ, কমিউনিস্ট লীগের শামীম ইমাম, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আব্দুল আলী, বাসদ (মার্কসবাদী)’র সীমা দত্ত প্রমুখ।
সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের পায়ের তলার মাটি নেই। তাই ক্ষমতায় থাকতে ভয়ের রাজত্ব কায়েম করছে। কোথাও কোথাও সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও পুলিশ যৌথভাবে হামলা চালাচ্ছে। জনগণের কণ্ঠস্বর বন্ধে নিপীড়নের মাত্রা বৃদ্ধি করেছে। ক্ষমতায় থাকতে দেশি-বিদেশি, লুটেরা আর আধিপত্যবাদী শক্তির ওপর নির্ভরতা বাড়াচ্ছে। এর মধ্যে নির্বাচন ব্যবস্থার সংস্কার ও সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য বাম গণতান্ত্রিক জোটসহ অন্যান্যদের দাবি উপেক্ষা করে আগামী নির্বাচনী বৈতরনী পার হতে আসন ভাগ-বাটোয়ারার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সাধারণ মানুষ আর্থিক সংকটে জর্জরিত হলেও মন্ত্রী-আমলাদের বিদেশ ভ্রমণ, নতুন নতুন অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প গ্রহণ, দুর্নীতি-লুটপাট অব্যবস্থাপনা থামছে না।
এ অবস্থায় চলমান দুঃশাসনের অবসান ও ব্যবস্থা বদলের সংগ্রাম জোরদার করতে জনগণের সংগ্রামী ঐক্য ও বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তি সমাবেশ গড়ে তুলতে হবে।