Home জাতীয় ৭৫ পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসের অন্ধকারে রেখে বড় করা হয়েছে–শিক্ষামন্ত্রী

৭৫ পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসের অন্ধকারে রেখে বড় করা হয়েছে–শিক্ষামন্ত্রী

30

বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:শিক্ষামন্ত্রী ডা: দীপু মনি বরেছেন, ৭৫ পরবর্তী প্রজন্মকে ইতিহাসের একটা অন্ধকারের মধ্যে রেখে তাদেরকে বড় করা হয়েছে। যে কারণে তারা বাংলাদেশের সত্যিকারের ইতিহাস ৯৬ সালের পূর্ব পর্যন্ত জানার সুযোগ পাননি। শিক্ষা ব্যবস্থা, আমাদের রাজনৈতিক ব্যবস্থায়, নির্বাচনী ব্যবস্থাসহ সবকিছুকে তারা ধ্বংস করে দিয়েছিল। বঙ্গবন্ধু কন্যার নেতৃত্বে এ দেশের সকল শ্রেনী-পেশার মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নত- সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কাজ করে যাচ্ছি। এ ক্ষেত্রে নীতি-নৈতিকতা জ্ঞান চর্চার মাধ্যমে ক্যাম্পাসগুলোতে সত্যিকারের সোনার মানুষ তৈরি করতে হবে,যারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বে। এব্যাপারে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ ভূমিকা পালন করতে হবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে বাংলাদেশ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

­বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতির চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পানিসম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ, বাংলাদেশ অ্যাক্রেডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেসবাহউদ্দিন আহমেদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন।

ডা: দীপু মনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শিক্ষা ভাবনা বুঝতে চাইলে আওয়ামী লীগের জন্মকালীন ইশতেহার ও ‘৭০ সালের নির্বাচনী ইশতিহার পড়তে হবে। স্বাধীন দেশে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষাকে অবৈতনিক ও জাতীয়করণ এবং কুদরাত-এ-খুদা শিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। আমাদের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে গবেষণা ও প্রকাশনা বাড়াতে হবে, সঠিক ইতিহাস জানতে হবে।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, বঙ্গবন্ধু না হলে বাংলাদেশ হতো না, শিক্ষার এত বিস্তার হতো না, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ও গড়ে উঠতে পারত না। উচ্চশিক্ষায় বেসরকারি বিনিয়োগের এত সুযোগ সৃষ্টি হতো না।

পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম বলেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক দরিদ্র ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানরাও পড়ে। অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার ক্ষতি পোষাতে সবার আগে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহীদুল্লাহ বলেন, শিক্ষার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু।

সভাপতির বক্তব্যে শেখ কবির হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা কমিশন করেছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্বায়ত্তশাসন দিয়ে গেছেন। ইউজিসি প্রতিষ্ঠা করেছেন। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার হলেও যারা এর নেপথ্যে ছিল তাদের বিচার হয়নি। দেশের প্রবীন নাগরিক হিসেবে আমার জীবদ্দশায় তাদের বিচার দেখে যাওয়ার প্রত্যাশা করি। তিনি বলেন, অনলাইন ক্লাস করতে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের যেসব সুবিধা দেওয়া হবে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও যেন একই সুবিধা দেওয়া হয়। তিনি ১৫ আগস্ট নির্মম হত্যাকাণ্ড স্মরণে এই দিনটিকে জাতিসংঘ কর্তৃক কালো দিবস ঘোষণার দাবী জানান।

সমিতির সাধারণ সম্পাদক বেনজীর আহমেদের পরিচালনার আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয় শোক দিবস পালন কমিটির আহবায়ক একেএম নূরুল ফজল বুলবুল।