Home সাহিত্য ও বিনোদন ৬০ জন চারুকলা শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হলো ৭ দিনব্যাপী টেরাকোটা কর্মশালা

৬০ জন চারুকলা শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হলো ৭ দিনব্যাপী টেরাকোটা কর্মশালা

63

ডেস্ক রিপোর্ট: টেরাকোটা হলো পোড়ামাটির শিল্প। লাতিন শব্দ ‘টেরা’ অর্থ মাটি আর ‘কোটা’ অর্থ পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি জিনিসপত্রই টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। মানবসভ্যতার শুরু থেকেই এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়। সুমেরীয় ও মায়া সভ্যতায় এই শিল্পের প্রচলন ছিল। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশে মৌর্য সাম্রাজ্য, গুপ্ত সাম্রাজ্যে বহু টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া গেছে। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুর টেরাকোটা শিল্পের জন্য বিখ্যাত। বাংলাদেশের দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরে টেরাকোটার নিদর্শন রয়েছে। প্রথমে আঠালো মাটির সঙ্গে খড়কুটো, তুষ মিশিয়ে কাদামাটি প্রস্তুত করা হয়। এরপর নানা রকম জিনিসপত্র তৈরি করে রোদে শুকাতে দেওয়া হয়। রোদে শুকানোর পর তৈরি জিনিসপত্রের ওপর বিভিন্ন নকশা খোদাই করে আগুনে পুড়িয়ে তৈরী করা হয় টেরাকোটা। বাংলাদেশের মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর, বৌদ্ধ স্তূপ, শালবন বিহার, দিনাজপুরের কান্তজির মন্দির, বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে টেরাকোটার নিদর্শন পাওয়া যায়।

আধুনিক যুগের শিল্পীরা আদি/ঐতিহ্য মনে রেখে নিজের মননশীলতা দিয়ে নির্মাণ করেন একেকটি শৈল্পিক টেরাকোটা। শিল্পীদের এই নিপুণ কাজে ঐতিহ্যের সঙ্গে যোগ হয়েছে অত্যাধুনিক সব কলাকৌশল।

প্রাচীন বাংলার হাজার বছরের সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ এই টেরাকোটা নির্মাণে ৭ দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি। সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, ইন্সিটিটিউট এর চারুকলার ৬০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে একাডেমির আয়োজনে চারুকলা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় কর্মশালার আয়োজন করা হয়। আজ ১৯ ডিসেম্বর সকালে জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে সকালে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক জনাব লিয়াকত আলী লাকী। ৭ দিনব্যাপী এ কর্মশালা প্রতিদিন বিকাল ৩.০০ টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত চলবে। উন্মুক্ত বিষয়ে প্রত্যেক শিক্ষার্থী ৭ টা করে টেরাকোটা নির্মাণ করবে। সংগ্রহকৃত টেরাকোটাগুলো নিয়ে পরবর্তীতে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হবে।