Home রাজনীতি ৫৪তম শহীদ সার্জেন্ট জহুর হত্যা দিবসে জসদের শ্রদ্ধা নিবেদন

৫৪তম শহীদ সার্জেন্ট জহুর হত্যা দিবসে জসদের শ্রদ্ধা নিবেদন

47

ডেস্ক রিপোর্ট: আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯ টায় পুরাতন আজিমপুর কবরস্থানে স্বাধীনতার সূর্য সৈনিক সার্জেন্ট জহুরুল হকের সমাধিতে জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটি ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফি উদ্দিন মোল্লা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহিল কাইয়ূম, ঢাকা মহানগর দক্ষিন জাসদের সভাপতি হাজি ইদ্রিস ব্যাপারি, সাধারণ সম্পাদক এড. মহিবুর রহমান মিহির, মোফাজ্জল হোসেন, মজিবর রহমান বাল্লে, যুব জোট ঢাকা মহানগর দক্ষিন কমিটির সভাপতি আলাউদ্দিন খোকন, ছাত্রলীগ (ন-মা) কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক মাসুদ আহাম্মেদ, সহ-সম্পাদক নাঈম মল্লিকসহ জাসদ, ছাত্রলীগ ও যুব জোটের নেতা-কর্মীরা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা শফিউদ্দিন মোল্লা ও ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সভাপতি হাজি ইদ্রিস ব্যাপারি।

এখানে উল্লেখ্য আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি পরাধীনতার নাগপাশ থেকে বাঙালি জাতির মুক্তি ও স্বাধীনতা সংগ্রামের অগ্রসৈনিক আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামী শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হকের ৫৪তম হত্যা দিবস। ১৯৬৯ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা সেনানিবাসে বন্দী সার্জেন্ট জহুরুল হককে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী গুলি করে বেয়নট চার্জ করে নির্মমভাবে হত্যা করে। সার্জেন্ট জহুরকে হত্যার পর শহীদ আসাদ, শহীদ মতিউরের আত্মবলিদানের মধ্য দিয়ে গড়ে উঠা ১৯৬৯ এর ঐতিহাসিক গণঅভ্যূত্থান চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে ধাবিত হয়। সার্জেন্ট জহুরকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পরলে বিক্ষুদ্ধ জনতা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনসহ বিভিন্ন সরকারি ভবনে আগুন লাগিয়ে দেয়। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবনে অবস্থানকারী আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান এস এ রহমান ও প্রধান সরকারী কৌশলী মঞ্জুর কাদের জনতার রুদ্ররোষ থেকে প্রাণ বাঁচাতে কোনো রকমে পালিয়ে যায়। বিক্ষুদ্ধ জনতা আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার নথিপত্র জ্বালিয়ে দেয়। সারা দেশে গণবিক্ষোভের লেলিহান আগুন ছড়িয়ে যায়। এই গণবিক্ষোভের এক পর্যায়ে ১৯৬৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. শামসুজ্জোহাকে ইপিআর বাহিনীর পাকিস্তানী ক্যাপ্টেন লক্ষ্যভেদ গুলির করে হত্যা করলে সারা পূর্ব বাংলার জনগণ যে অগ্নিরোষে ফেটে পরে। সামরিক শাসক জেনারাল আইয়ূব খান ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা প্রত্যাহার করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ সকল আসামীকে নিঃশর্ত মুক্তি দিয়ে বাধ্য হয়। এই গণআন্দোলন গণবিদ্রোহের চাপে ১৯৬৯ সালের ২৫ মার্চ জেনারেল আইয়ূব খান পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়।