Home মতামত ২১ আগস্টসহ ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় যেভাবে!

২১ আগস্টসহ ১৯ বার শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করা হয় যেভাবে!

71

সোহেল সানি :
সবাইকে হারিয়ে এমন বেঁচে থাকতে তো আমি চাইনি। প্রতিদিন পলে পলে দ্বগ্ধ হওয়া, সব হারানোর প্রচন্ড দাবদাহ অন্তুরজুড়ে যে তুষের আগুনের ধিকিধিকি জ্বলনীর জীবন, সে জীবন তো আমি চাইনি। এর চেয়ে মা-বাবা, ভাই-ভাবীদের সঙ্গে আমিও চলে যেতে পারতাম, তাহলে প্রতিদিনের অসহনীয় যন্ত্রণা থেকে তো বেঁচে যেতাম। আমার জন্য সেটাই ভালো হতো। আমি সেদিন কেনো স্যারের (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ডঃ আব্দুল মতিন চৌধুরী) নিষেধ শুনলাম না, আমি সেই কেনোর জবাব খুঁজে ফিরি। আমার দৃষ্টি ঝাপসা হয়, আমায় কুঁরেকঁরে খায়। দলপাকানো বেদনায় আমার কন্ঠ রুদ্ধ হয়। নিদারুণ কষাঘাতে জর্জরিত হই।” উপর্যুক্ত নিদারুণ বেদনা- বিষাদের কথাগুলো জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর কন্যা আজকের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলেছিলেন স্বদেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা তাঁর প্রিয় ভিসি স্যারের মৃত্যুত্তোর স্মরণসভায় দাঁড়িয়ে। বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা আর তাদের প্রেত্মারা যেনো ওতপেতে কানে তুলে নিয়েছিলো, শেখ হাসিনার অবচেতন মনের কথাগুলো। ২৯ জুলাই ১৯৭৫-এ জার্মানিতে বেড়াতে না গেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এম এ ক্লাসের ছাত্রী শেখ হাসিনাকে পুত্র-কন্যাসহ, বোন শেখ রেহানাকেও যে ঘাতকদের বুলেট কেড়ে নিত। কিন্তু সে যাত্রা বেঁচে গেলে কী হবে, দমে যায়নি বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা এবং হত্যাকান্ডের বেনিফেশিয়ারিরা। ৩ নভেম্বর ১৯৭৫-এ জাতীয় চারনেতা হত্যাকান্ডের জের ধরে জেনারেল খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থানে খন্দকার মোশতাকের পতন ও তার অনুগ্রহে ঘাতকদের দেশত্যাগের সুযোগ নিলেও তারা রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় দেশে ফিরে ফ্রিডম পার্টি গঠন করে এবং বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিকবার হামলা চালায়। এমনকি বঙ্গবন্ধুর বাসভবনেই। জেনারেল জিয়ার বদৌলতে বঙ্গবন্ধুর ঘাতকরা বিদেশে কুটনীতিকের চাকুরি সুবিধাগ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে এবং জেনারেল এরশাদের পৃষ্ঠপোষকতায় রাজনৈতিক দলগঠনের অধিকারই শুধু নয়, ঘাতকদের দল সংসদেও প্রতিনিধিত্ব করে। এমনকি জেনারেল এরশাদ রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর ঘাতক কর্ণেল ফারুককে তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী হতেও সুযোগ দেন। বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচারের মাধ্যমে ১২ ঘাতকদের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ও ফ্রিডম পার্টি অস্তিত্ব বিলীন হয়ে গেলেও শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা থামেনি। ১৯৯৬-২০০১ প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীনও শেখ হাসিনার হত্যার চেষ্টা করা হয়। শেখ হাসিনা কেবল নয়, আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বশূণ্য করার জন্য ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বিএনপি-জামাতের রাষ্ট্রীয় মদদে পরিচালিত হয় ভয়ংকর গ্রেনেড হামলা। বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে সংঘটিত ও গ্রেনেড হামলায় অলৌকিকভাবে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলে নিহত হয় আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। গুরুতর আহত হন দলের শীর্ষ নেতারা। ক্ষতবিক্ষত হয় শতাধিক কর্মী। মৃত্যুবরণ করতে হয় তৎকালীন মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী আইভি রহমান ও এককালীন ছাত্রলীগ নেতা মোশতাক আহমেদ সেন্টুকে। ২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান ও সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ সামরিক বেসামরিক বহু শীর্ষ কর্মকর্তা অভিযুক্ত হয়েছেন। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি এরশাদের শাসনামলে চট্টগ্রামের লালদিঘি ময়দানের হামলাও ছিলো রাষ্ট্রীয় নীলনকশার। ১৯৮৮-তে চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানে এবং ২০০৪-এ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সংঘটিত গ্রেনেড হামলাকে বলা হয় রাষ্ট্রকল্পিত গণহত্যা। ১৯৮১-২০২১। বঙ্গবন্ধু কন্যা রাজনীতির ৪০ বছর চলছে। সেই থেকে যাঁকে হত্যার চেষ্টা হয়েছে ১৯ বার, সেই তাঁরই নেতৃত্বে বাংলাদেশ পার করতে চলেছে কুড়ি বছর। ১৯টি হামলার মধ্যে ১৭টিই সংঘটিত হয় শেখ হাসিনা যখন প্রধানমন্ত্রী কিংবা বিরোধী দলের নেতার আসনে আসীন ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করলেও তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে পরিচালিত ১৯টি হামলাই হয় ১৯৮৭ সালের পরে। ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদিঘী ময়দানের জনসভাস্থলে বুলেট-বোমা হামলাই প্রথম হামলা। যে হামলায় ভাগ্যক্রমে শেখ হাসিনা বেঁচে গেলেও ৭ নেতাকর্মী প্রাণ হারায়। আহতের সংখ্যা ছিল তিন শতাধিক। সরাসরি রাষ্ট্রীয় মদদে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতেই শেখ হাসিনাকে হত্যার সেই প্রথম চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যায়। জেনারেল এরশাদের স্বৈরাচারী শাসনামলে শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে আরো একটি হামলা চালানো হয়। দ্বিতীয় এই হামলাটি হয় ১৯৮৯ সালের ১১ আগস্ট। বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর সড়কের বাসভবনে এ হামলাটি হয় সরকারের মদদে। বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের নীলনকশা অনুযায়ী। খুনী ফারুক-রশীদের ফ্রিডম পার্টির চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা শোকাবহ আগস্টের ১১ তারিখ দিবাগত রাত ১২টার এ হামলা চালায়। মুহূর্মুহু গুলি ছুঁড়ে এবং গ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয়। নিক্ষিপ্ত বিধ্বংসী একটি গ্রেনেড বিস্ফোরিত না হওয়ায় শেখ হাসিনা রক্ষা পান। আগেই উল্লেখ করেছি, জাতির পিতাকে প্রায় সপরিবারে এই বাসভবনেই হত্যা করে ফারুক-রশীদ গং। মোশতাকের পতন হলেও বঙ্গবন্ধু হত্যাকে যে ইনডেমনিটি দিয়ে বৈধতাদান করা হয়েছিল তা ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত বহাল ছিলো। জেনারেল জিয়া যে আত্মস্বীকৃত খুনীদের বিদেশি দূতাবাসে চাকুরী দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন, সেই তাদের দেশে ফিরিয়ে আনেন জেনারেল এরশাদ। মূলত শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে নির্মূল করতে ঘাতকদের ফ্রিডম পার্টি গঠনের সুযোগ দেয়া হয়। ফাঁসিতে মৃত্যুদন্ড কার্যকর হওয়া কর্নেল ফারুককে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও প্রার্থী হওয়ার সুযোগ দেয়া হয়েছিলো। এরশাদের ১৯৮৮ সালের প্রহসনের নির্বাচনে ফ্রিডম পার্টির ব্যানারে সংসদ সদস্য হওয়ার সুযোগ পায় বঙ্গবন্ধুর খুনী কর্নেল রশীদ ও মেজর বজলুল হুদা। মেজর হুদা ফাঁসিতে ঝুললেও বিদেশে পলাতক রয়েছে হত্যা পরিকল্পনার অন্যতম হোতা কর্নেল রশীদ। দেশ ও জাতি ১৫ আগস্টকে জাতীয় শোক দিবসরূপে পালন করে আসলেও ফ্রিডম পার্টি ওদিনটাকে ‘জাতীয় মুক্তি দিবস’ হিসাবে পালনের ঔদ্ধত্য ও ধৃষ্টতা দেখিয়েছিলো রাষ্ট্রীয় মদদে।

গ্রীনরোড :
১৯৯১ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারীর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অকল্পনীয়ভাবে আওয়ামী লীগের পরাজয়ে উত্থান ঘটে বিএনপির। বেগম খালেদা জিয়ার প্রধানমন্ত্রীত্বকালে কয়েকটি আসনে উপনির্বাচন হয়। ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সেই নির্বাচনে বেগম জিয়ার ছেড়ে দেয়া ঢাকা-৯ (ধানমন্ডি- মোঃপুর) আসন। এই আসনে বেগম জিয়া আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীকে পরাজিত করেছিলেন। পরে বেগম জিয়া আসনটি ছেড়ে দিলে ১৯৯১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর উপনির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন আলহাজ্ব মকবুল হোসেন। ওদিনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা শেখ হাসিনা ভোটদানশেষে গাড়িতে করে গ্রীনরোড অতিক্রম করছিলেন। ঠিক সেই মূহুর্তে তাঁকে হত্যার জন্য গাড়িতে করা হয় গুলিবর্ষণ। নিক্ষেপ করা হয় বোমা। অলৌকিকভাবে প্রাণে রক্ষা পান শেখ হাসিনা। এটি ছিল তৃতীয় হামলা। ঈশ্বরদী চতুর্থ হামলাটি হয় ১৯৯৪ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর ঈশ্বরদী রেলস্টেশনে। শেখ হাসিনাকে বহনকারী বগিটিতে গুলিবর্ষণ করা হলেও অল্পের জন্যে বেঁচে যান।
রাসেল স্কোয়ার :
১৯৯৫ সালের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর শেখ রাসেল স্কোয়ারে হয় পঞ্চমবারের হামলাটি। সমাবেশে ভাষণদানকালে অতর্কিত গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা। গুলি লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়।
গুলিস্তান :
১৯৯৬ সালের ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উপলক্ষে ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে ছিল আওয়ামী লীগের জনসভা। হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো হয় বোমা হামলা। এ যাত্রাও বেঁচে যান বিরোধী দলের নেতা শেখ হাসিনা। হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী থাকা অবস্থায় শেখ হাসিনাকে বেশ কয়েকবার হত্যার চেষ্টা করা হয়। ইন্টার এশিয়া টেলিভিশনের মালিক শোয়েব চৌধুরী ইমেইলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ৩১ জনকে হত্যার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করে।

কোটালিপাড়া :
২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালিপাড়ায় জনসভাস্থলে ৮৪ কেজি এবং হ্যালিপ্যাডের কাছে ৭৬ কেজি ওজনের দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয় হয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে।
খুলনার রূপসা : ২০০১ সালের ২৯ মে খুলনার রূপসা সেতুর উদ্বোধন করার কথা ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। সেই স্থানেও বোমা পুঁতে রাখা হয় হত্যার লক্ষ্যে। বোমা পুঁতে রাখার খবরে কর্মসূচি বাতিল করা হয়। সিলেট :
২০০১ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গনের সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে পৌঁছার আগেই মাদ্রাসাস্থ একটি ভবনে বোমা বিস্ফোরণ ঘটে এবং দুজন হুজি নিহত হয়।
নওগাঁ :
২০০২ সালের ৪ মার্চ শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নওগাঁয় বিএমসি মহিলা কলেজের সামনে গাড়ী বহরে হামলা চালানো হয়। সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়লেও লক্ষ্য ভ্রষ্ট হয়।
বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ :
২০০৪ সালের ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সবচেয়ে নৃশংস ও বর্বরোচিত হামলা। বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে সন্ত্রাস বিরোধী সমাবেশে ভাষণ দিচ্ছিলেন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। মুহূর্মুহু গ্রেনেড গুলিবর্ষণ যেনো রোজ কেয়ামত হানা দিয়েছিলো। গ্রেনেড বিস্ফোরণের মুখে বুলেটপ্রুফ গাড়িতে উঠিয়ে দিলেও ঘাতকরা বৃষ্টির মতো গুলি ছুঁড়ে। গ্রেনেড হামলায় ছাত্রলীগের অকুতোভয় যোদ্ধা মোস্তাক আহমেদ সেন্টুসহ ঝরে পড়ে ২৪ নেতাকর্মীর প্রাণ। ক্ষত বিক্ষত হন শীর্ষ নেতারা। আর হামলার শিকার হয় চারশত নেতাকর্মী। ২৪ আগস্ট মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন গ্রেনেড হামলায় আহত হওয়া মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী বেগম আইভি রহমান (প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের পতœী)। ওই হামলায় আহত অনেকে পঙ্গুত্ববরণ করেছেন।
কারাগার :
২০০৭-২০০৮ সেনাসমর্থিত ফখরুদ্দিন সরকারের সময়ে কারাবন্দী অবস্থায় বিষ মেশানো খাবার খাইয়েও শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে।
কলারোয়া :
২০০২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর সাতক্ষীরার কলারোয়া। এটি ছিলো গাড়িবহরে হামলা। বরিশাল ২০০২ সালের ২ এপ্রিল বরিশালের গৌরনদীতে গাড়িবহরে গুলিবর্ষণের ঘটনা ছিলো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনা হত্যাচেষ্টার বারোতম হামলা।
কলকাতা :
২০১১ সালে শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানি একটি ঘাতক চক্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করে। কিন্তু ঘাতকরা কলকাতা বিমানবন্দর অভিমুখে যাত্রার প্রাক্কালে দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে চার ঘাতক নিহত হয়। এ হত্যা চেষ্টার খবর প্রকাশ করে উইকিলিকস। বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারে দন্ডপ্রাপ্ত ফাঁসির আসামী মেজর ডালিম হংকং বসবাসকারী বাংলাদেশী ব্যবসায়ী ইসরাক আহমেদের অর্থায়নে শেখ হাসিনা হত্যা পরিকল্পনা করে।
নারী জঙ্গীদল :
২০১৪ সালে নারী জঙ্গী দল দিয়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়।
“মানব বোমা”
বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এ হত্যা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের কথা ছিলো। পশ্চিম বঙ্গের বর্ধমানে ১৫০ জন নারী এবং ১৫০ জন পুরুষ যুবককে প্রশিক্ষণ দেয়া হয় হত্যাকান্ড ঘটানোর জন্য। কিন্তু প্রশিক্ষণ অবস্থায় বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটলে সবকিছু ফাঁস হয়ে যায়।
কাওরানবাজার :
সর্বশেষ হামলাটি হয় একই বছর রাজধানী ঢাকার কাওরানবাজারে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ করে ঘাতকরা। জামাআতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি) এই হত্যা চেষ্টা চালায়। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এ যাত্রাও প্রাণে রক্ষা পান। উল্লেখ্য, এসব হামলার একেক করে বিচারকার্য চলছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি হত্যা চেষ্টা মামলা রায়ে ঘাতকদের ফাঁসির আদেশও দেয়া হয়েছে।

লেখকঃ সিনিয়র সাংবাদিক, কলামিস্ট ও ইতিহাস বিশেষজ্ঞ।

*মতামত বিভাগে প্রকাশিত সকল লেখাই লেখকের নিজস্ব ব্যক্তিগত বক্তব্য বা মতামত।