ডেস্ক রিপাের্ট :‘শেখ রাসেল দিবস’ ‘ক’ শ্রেণিভুক্ত দিবস হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর দিবসটি জাতীয় ভাবে পালিত ও উদযাপিত হবে। মন্ত্রিপরিষদের নিয়মিত বৈঠকে আজ এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ‘শেখ রাসেল দিবস’ পালনের প্রস্তাব মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে পেশ করেন এবং এর যৌক্তিকতা তুলে ধরেন। এরই প্রেক্ষিতে সর্বসম্মতিক্রমে মন্ত্রিপরিষদ প্রস্তাবটি অনুমোদন করে।

আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, এখন থেকে প্রতিবছর ১৮ অক্টোবর ‘শেখ রাসেল দিবস’ জাতীয়ভাবে পালিত হবে; যা আগামী দিনের শিশুদের জন্য একটি অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে। জাতীয় জীবনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও প্রকৃত ইতিহাস জানার সুদুরপ্রসারি সুযোগ এনে দিবে।

উল্লেখ্য, স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সর্বকনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেল ১৮ অক্টোবর , ১৯৬৪ সালে জন্ম গ্রহণ করেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে রাসেল ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তিনি ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুল ও কলেজের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিবসহ শিশু পুত্র শেখ রাসেলসহ ১৮জনকে নির্মমভাবে হত্যা করে।