Home জাতীয় ১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

১২ ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে জাবিতে বিক্ষোভ

40

তানভীর রিফাত, জাবি প্রতিনিধি: বামজোটের হরতালে ‘ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার পোড়ানোর’ অভিযোগে বামপন্থী তিন ছাত্র সংগঠনের ১২ নেতার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন হয়েছে।

শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টায় প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলোর পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে মানববন্ধন করা হয়। মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বরে গিয়ে মিছিলটি শেষ হয়।

মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা ‘উদ্দেশ্যমূলক’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। একই সঙ্গে দেশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদ জানান তারা।

এর আগে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে গত ২৮ মার্চ অর্ধবেলা হরতাল পালন করে বাম গণতান্ত্রিক জোট (এলডিএ)। হরতালে ভাঙচুর ও বঙ্গবন্ধুর ছবি সংবলিত ব্যানার ‘পোড়ানো’ হয়েছে এমন অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্র ফেডারেশন এবং বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ১২ নেতাসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৪৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল।

মানববন্ধনে শাখা ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি রাকিবুল রনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন পর দেশে একটি হরতাল হয়েছে যাতে যৌক্তিক দাবি ছিল। আর এই দাবির প্রতি দেশের মানুষের সমর্থন ছিল। অথচ উদ্দেশ্যমূলকভাবে একটি মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মূলত এটি হরতাল এবং দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিপরীতে মানুষের মনোযোগ নিয়ে যাওয়ার প্রচেষ্টা। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি হয়নি এমন ভুঁইফোড় বক্তব্য না দিয়ে প্রকৃতপক্ষে যে ব্যবস্থা নিলে বাজার স্থিতিশীল হবে এমন ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে ছাত্র নেতাদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি। এই আহ্বান প্রত্যাখ্যান করা হলে ইতিহাস বিকৃতকারী মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের বিরুদ্ধে আমরা সর্বোচ্চ যুদ্ধটুকু করব।’

ছাত্র ফ্রন্টের সহসভাপতি সুমাইয়া ফেরদৌস বলেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে রাস্তায় নামলে পুলিশ আমাদের পেটাচ্ছে। এখন যারা ক্ষমতায় রয়েছে তারা কোনোভাবেই জনগণের দ্বারা নির্বাচিত নন। সংসদের প্রতিনিধিদের অধিকাংশই ব্যবসায়ী। ব্যবসায়ীদের ধান্দা হলো মুনাফার পেছনে ছোটা। এই ব্যবসায়ীদের ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। তেলের দাম বাড়লে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী তা জানেন না। এই পরিস্থিতি বেশি দিন চলতে পারে না।’