Home রাজনীতি ১০ লাখ লোকের সমাবেশ না করে সমাবেশের টাকা দিয়ে ৮ লাখ মুরগি...

১০ লাখ লোকের সমাবেশ না করে সমাবেশের টাকা দিয়ে ৮ লাখ মুরগি কিনুন–জাফরুল্লাহ

35

সুব্রত সানা: গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রধানমন্ত্রীর উ‌দ্দেশ্য ব‌লে‌ছেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের অনুষ্ঠা‌নে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ না করে এই সমাবেশের টাকা দিয়ে ৮ লাখ মুরগি কিনুন। সেটা গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করেন। তাহলে প্রান্তিক পোল্টি খামারিদের কিছুটা হলেও উপকার হবে।

দেশের প্রান্তিক চাষী ও খামারিরা না বাঁচলে দেশ বাঁচবে না বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা (প্রধানমন্ত্রী) যদি না বোঝেন তাহলে দেশের প্রান্তিক চাষীরা প্রান্তিক খামারিরা বাঁচবে না।

রবিবার (১৯ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারী ঐক্য পরিষদ আয়োজিত “প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীদের দুর্দশা এবং তা থেকে মুক্তির উপায়” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তিনি এ কথা বলেন।

দেশের প্রান্তিক চাষী, প্রান্তিক খামারি এবং প্রান্তিক জনগণের দিকে নজর দেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান জানিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, এরাই আপনাকে বাঁচাতে পারবে। তা না হলে আপনাকে খালেদা জিয়ার মতো কোর্টে কোর্টে ঘুরতে হবে। সেটা খুব ভুল কাজ হবে?

ঈদকে কেন্দ্র করে গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরণের জন্য ২০ হাজার পল্টি মুরগি কেনার কথা আহ্বান জানান জাফরুল্লাহ। তিনি বলেন, এই ২০ হাজার মুরগি কেনার ফলে প্রান্তিক চাষীদের আর্থিক দুরবস্থা কিছুটা হলেও লাঘব হবে।

এ সময় পদ্মা সেতুর কথা উল্লেখ করে গরীবের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী উদ্দেশে বলেন, আজকে প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতু করেছেন। এটাকে জাঁকজমকের সাথে উদ্বোধন করবেন এটি স্বাভাবিক কথা। এই ছয় কিলোমিটার রাস্তা উৎপাদনের জন্য আপনি ১০ লাখ লোকের সমাবেশ করবেন। এই সমাবেশ এমন সময় করছেন যখন দুই কোটি পরিবার ঈদ করতে পারবে না। তার সাথে যোগ হয়েছে বন্যার আরও ৫০ লাখ। আপনার এই পদ্মা সেতুতে বড় বড় শিল্পপতির লাভ হবে। এই পদ্মা সেতুতে পারাপার কে হবে। প্রান্তিক মানুষ। তাদের জন্য আপনি কি করতে পারলেন? এই যে ১০ লাখ লোকের সমাবেশ না করে এই ১০ লাখ মানুষের টাকা দিয়ে ৮ লাখ মুরগি কেনা যাবে এবং সেটা গরিব দুঃখীদের মাঝে বিতরণ করা যাবে। এই কাজটা করেন। তাহলে প্রান্তিক পোল্টি খামারিদের কিছুটা হলেও উপকার হবে। এই ৮ লাখ মুরগিতে যেমন পুষ্টি থাকবে গরীব ও বন্যা দুর্গতদের পুষ্টির চাহিদাও মিটবে এবং খামারিদের ও একটা ভিট তৈরি হবে।

ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আপনারা হলেন দেশের বুনিয়াদ। এই যে পোল্টির খামারের মাধ্যমে কর্মসংস্থান এটা একটা প্রান্তিক খামারি তার জায়গা যেখানে শিক্ষিত ছেলেদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। কিন্তু তাদের জন্য নীতিমালা না করে সিন্ডিকেটের পাল্লায় পড়ে যেমন খুশি তেমন ভাবে তাদের উঠানো বসানো এটা তো চলতে পারে না। এই পোল্ট্রি খামারীদের জন্য একটা নীতিমালা করতে হবে।

সবশেষ একটি দৈনিক পত্রিকার সংবাদ এর উদাহরণ টেনে প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, অনেক কাজ করেছেন এখন একটু দেশের দিকে নজর দেন।

এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহীম বীরউত্তম, সাবেক সম্পাদক ও পরিবেশবিদ মোস্তফা কামাল মজুমদার, প্রাণীসম্পদ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক (গ্রেড-১) ডা. আব্দুল জব্বার শিকদার, সংগঠনের সভাপতি মিজান বাশারসহ বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক পোল্ট্রি খামারীরা।